বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। —ফাইল ছবি।
প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভা যে ২২ অগস্ট হবে, তা গত শনিবার প্রথম লেখা হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনে। সে দিনই সিপিএম নেতৃত্বে জানিয়েছিলেন, সোমবার স্থান চূড়ান্ত হবে। সিপিএম চেয়েছিল বড় জায়গায় বুদ্ধদেবের স্মরণানুষ্ঠান করতে। সেই মতো নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই কর্মসূচি করতে চলেছে সিপিএম। সূত্রের খবর, নেতাজি ইন্ডোর পাওয়ার জন্য সিপিএম চিঠি দিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ তাতে মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বলেছেন, ‘‘২২ অগস্ট নেতাজি ইন্ডোরে বুদ্ধদার স্মরণসভা হবে।’’ তবে সময় চূড়ান্ত হয়নি।
বুদ্ধদেবের শেষযাত্রায় ঘনিষ্ঠবৃত্তের আলোচনায় সিপিএম নেতা রবীন দেব জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে দলীয় কর্মীদের এমনও বার্তা এসেছে, প্রয়াত নেতার স্মরণসভা হোক ব্রিগেডে। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে সিপিএম নেতৃত্ব খোলা আকাশের নীচে বুদ্ধদেবের স্মরণানুষ্ঠান করার ঝুঁকি নিতে চাননি। তাঁরা চেয়েছিলেন, বড় জায়গা এবং ঘেরা জায়গা। সেলিম এ-ও জানিয়েছেন, বুদ্ধদেবের স্মরণসভা হবে রাজ্য সিপিএমের নামে। অর্থাৎ সামগ্রিক ভাবে বামফ্রন্টের নামেও ওই কর্মসূচি করছে না আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল দলের কলকাতা জেলা কমিটির দফতরের প্রেক্ষাগৃহে বুদ্ধদেবের স্মরণসভা করার। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষযাত্রায় যে পরিমাণ লোক হয়েছিল, তা দেখেই সিপিএম নেতৃত্ব ঠিক করেন, বড় জায়গায় ওই কর্মসূচি করা হবে। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনের প্রেক্ষাগৃহে স্থান সঙ্কুলান হবে না।
গত শনিবার সেলিম জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুদ্ধদেবের স্মরণসভায় আমন্ত্রণের প্রশ্নই নেই। যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে মমতা তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রীরা পিস ওয়ার্ল্ড পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন। বিধানসভাতেও মর্যাদার সঙ্গে বুদ্ধদেবের মরদেহ নিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা গান স্যালুটেরও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে বিধি দেখিয়ে সিপিএম নেতৃত্ব তা খারিজ করে দেন। ৮ অগস্ট সকাল ৮টা ২০ মিনিটে প্রয়াত হন বুদ্ধদেব। পরের দিন তাঁর শেষযাত্রার পর তাঁর দেহ দান করা হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy