Advertisement
E-Paper

সহযোগিতা চেয়ে বার্তা দিল কারনান এজলাস

সতীর্থ বিচারপতির সঙ্গে প্রকাশ্যে মতবিরোধে জড়িয়ে মঙ্গলবার তিনি শিরোনামে এসেছিলেন। যার জেরে জামিন-বেঞ্চ থেকে তাঁকে সরতে হয়েছে। পড়তে হয়েছে আইনজীবীদের বয়কটের মুখে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৬ ০৩:২৮
সিএস কারনান

সিএস কারনান

সতীর্থ বিচারপতির সঙ্গে প্রকাশ্যে মতবিরোধে জড়িয়ে মঙ্গলবার তিনি শিরোনামে এসেছিলেন। যার জেরে জামিন-বেঞ্চ থেকে তাঁকে সরতে হয়েছে। পড়তে হয়েছে আইনজীবীদের বয়কটের মুখে। কলকাতা হাইকোর্টের সেই বিচারপতি চিন্নাস্বামী স্বামীনাথন কারনান এক দিন ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন দায়িত্বে যোগ দিলেন। এ দিন প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত বেশ ক’টি মামলার শুনানি হয়েছে তাঁর এজলাসে। সেখানে আইনজীবীদের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

বিবেকানন্দ রোডে নির্মীয়মাণ উড়ালপুল ভঙ্গের ঘটনায় ধৃতদের জামিন দেওয়া না-দেওয়া ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। প্রবীণ বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি কারনানের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি শুনছিল। জামিন প্রশ্নে মঙ্গলবার দুই বিচারপতির ঠোকাঠুকি প্রকাশ্যে চলে আসে। বিচারপতি রায় গত ২০ মে (হাইকোর্টে গ্রীষ্মাবকাশ শুরুর আগের দিন) ধৃতদের জামিন-আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন। সে দিন বিচারপতি কারনানও একই মত দেন। গত সোমবার হাইকোর্ট খোলার পরে তিনি জামিন খারিজের ‘অর্ডারে’ সইও করেন। কিন্তু খানিক বাদে সই কেটে দিয়ে জানান, জামিনের পক্ষে তিনি নতুন করে অর্ডার লিখবেন।

সতীর্থের এ হেন আচরণ দেখে মঙ্গলবার ভরা এজলাসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি রায়। আইনজীবীরা হাত জোড় করে তাঁকে শান্ত হতে বলেন। শেষমেশ দুই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে উঠে যান। ঠিক কী ঘটেছে, জানার জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ওই দিনই বিচারপতি রায়কে ডেকে পাঠান। বিচারপতি রায় এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে, প্রধান বিচারপতির কাছে তিনি পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রধান বিচারপতি আশ্বাস দেন, তিনি নিজে ব্যাপারটা দেখবেন।

সেই মতো বুধবার বিচারপতি কারনানকে ‘জামিন বেঞ্চ’ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর পরিবর্তে জামিন সংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি রায়ের সঙ্গী হয়েছেন বিচারপতি মলয়মরুত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিচারপতি কারনানকে পাঠানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার আদালতে। এক দিন ছুটি কাটিয়ে বিচারপতি কারনান এ দিন তাঁর নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এজলাসে এসে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে এ-ও বলেন, ‘‘আপনারা সহযোগিতা করলে জমে থাকা মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করতে বেশি সময় লাগবে না।’’

কয়েকটি মামলার সওয়াল-জবাব শুনে এ দিন মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির কিছুক্ষণ আগে এজলাস ছেড়ে চলে যান বিচারপতি কারনান। ঘটনা হল, মঙ্গলবারের বিতণ্ডার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন বিচারপতি কারনানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ দিনও সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বয়কট বলবৎ। তা হলে অনেক আইনজীবী কারনান-এজলাসে সওয়াল করলেন কেন? বয়কট প্রশ্নে আইনজীবীরা কি দ্বিধাবিভক্ত?

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন দাশগুপ্ত এমনটা মানেন না। ‘‘হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন বয়কট প্রত্যাহার করেনি। যাঁরা মামলা লড়েছেন, ধরে নিতে হবে তাঁরা এই সংগঠনের সদস্য নন।’’— ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। সুরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘সংগঠন তো এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি যে, কেউ ওই বিচারপতির এজলাসে মামলা লড়লে তাঁকে বাধা দেওয়া হবে!’’

judge kolkata high court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy