E-Paper

নথি যাচাইয়ে সময় ও পদ্ধতি নিয়ে সংশয়

শুনানির নোটিস পাঠানো হয়েছে আবেদনকারীদের। ছাপানো নোটিসে নির্দিষ্ট দিন, তারিখ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, ‘পূর্ববর্তী এসআইআর-এর সময় ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনও মিল না থাকা বা সম্ভবত ভুল মিল থাকার পরিপ্রেক্ষিতে’ আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৪

— প্রতীকী চিত্র।

ভোটার তালিকা সংশোধন বা এসআইআর-এর শুনানি পর্বে জমা সমস্ত নথি যাচাই করে দেখবে নির্বাচন কমিশন। ফলে সংশ্লিষ্ট আবেদনগুলি নিয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের প্রক্রিয়াও কিছুটা দীর্ঘ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যে বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীকে শুনানিতে ডাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁদের নথি যাচাইয়ের পদ্ধতি ও সময় নিয়ে ভোট-প্রশাসনের একাংশেও সংশয় রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই যাচাইয়ের দায়িত্ব শুধুমাত্র জেলাশাসকদের উপরে দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই শুনানির নোটিস পাঠানো হয়েছে আবেদনকারীদের। ছাপানো নোটিসে নির্দিষ্ট দিন, তারিখ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, ‘পূর্ববর্তী এসআইআর-এর সময় ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনও মিল না থাকা বা সম্ভবত ভুল মিল থাকার পরিপ্রেক্ষিতে’ আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এই নোটিসের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আধার ও বিহারের সাম্প্রতিক ভোটার তালিকা- সহ ১৩ টি নথির তালিকাও রয়েছে। এবং সেই নথির আসল শুনানির সময় সঙ্গে রাখতে বলা হচ্ছে। নোটিসের সঙ্গেই আবেদনকারীদের জানিয়ে দেওয়া হবে, ‘দয়া করে জেনে রাখুন যে আপনার জমা দেওয়া নথি যাচাইয়ের জন্য (সংশ্লিষ্ট বিভাগে) পাঠানো হবে।’

বিভিন্ন সময়ের এই ১৩ রকম নথির ( যে কোনও একটি নথি দিতে হবে) অনেকগুলিই বহু বছরের পুরনো হতে পারে। তার কিছু ‘ডিজিটাইজড’ না-ও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই যাচাই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ও জটিল। সংশ্লিষ্ট সরকার, দফতর ও বিভাগের সহযোগিতাও জরুরি। কারণ কমিশন যে নথিগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তার প্রায় সবই সরকারি দফতরের দেওয়া। পেনশন সংক্রান্ত নথি বা পিপিও, শিক্ষা সংক্রান্ত শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র, বসবাস সংক্রান্ত শংসাপত্রের নথি যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতেই পাঠাতে হবে এবং তাদের জবাবের অপেক্ষা করতে হবে।

তবে বিএলও-দের অ্যাপে আরও একটি নতুন ‘আপডেট’ দিয়ে সেখানে অনলাইন নথি জমা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে শুনানির আগে বিএলও-দের এই কাজ আরও কিছুটা বাড়বে। তাতে শুনানিতে হাজিরার সংখ্যা কমতে পারে।

এ ক্ষেত্রে কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে সংশ্লিষ্ট বিএলও-র কাছে যেতে বলা হচ্ছে আবেদনকারীদের। ‘ইসিআইনেট’ অ্যাপ্লিকেশনে’র মাধ্যমেও নিজের সমস্যা সমাধান করতে পারেন ভোটার। কিন্তু এই ‘অ্যাপ্লিকেশন’ ব্যবহারের সুবিধা ঠিক কত জন নিতে পারবেন, সে সম্পর্কেও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। যেহেতু শুনানির ‘ওয়েবকাস্টিং’ -এর পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গিয়েছে তাই প্রশ্ন উঠছে নথি জমার প্রমাণ নিয়েও। প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, আবেদনকারীরা শুনানির সময় কোন নথি দেখালেন, তার প্রমাণও দু’তরফের কাছে থাকা উচিত। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা তৈরি হলে তা কাজে লাগবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Special Intensive Revision Election Commission of India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy