Advertisement
E-Paper

কালিয়াচকে বিডিও-কে মারধর, অভিযুক্ত স্থানীয় কংগ্রেস নেতা

খোদ বিডিও-র দফতরে ঢুকেই তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ মালদহের কালিয়াচক ২ ব্লকে এই ঘটনার পরে বিডিও মামুন আখতার ওই ব্লকের বাঙিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা মন্ডলের স্বামী দীপক মন্ডল সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৪০
মামুন আখতার।

মামুন আখতার।

খোদ বিডিও-র দফতরে ঢুকেই তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ মালদহের কালিয়াচক ২ ব্লকে এই ঘটনার পরে বিডিও মামুন আখতার ওই ব্লকের বাঙিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা মন্ডলের স্বামী দীপক মন্ডল সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। সকলেই পলাতক। দীপকবাবু ওই এলাকার কংগ্রেস নেতা বলেও পরিচিত। চন্দনাদেবী অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় মালদহে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক মহলে জোর কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্লক স্তরেও বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কতটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। এ দিন মামুন আখতারও নিজের দফতরের বসে কাজ করছিলেন। আচমকাই দীপকবাবু-সহ কংগ্রেসের দুই কর্মী এনামুল হক এবং আফিরুদ্দিন শেখ সেখানে ঢুকে পড়েন। তাঁরা তিন জনেই পেশায় ঠিকাদার। সকলেরই বাড়ি বাঙিটোলায়। প্রথমে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে।

বিডিও অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সে সময় বিডিও-র অফিসে খুব বেশি কর্মী ছিলেন না। এলাকার বাসিন্দারাই ছুটে যান। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন দীপকবাবুরা। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মোথাবাড়ির কংগ্রেসের বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন অবশ্য জানান, কী ঘটেছে জানেন না, খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

তবে প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস পাঁচেক আগে এই ব্লকে কাজে যোগ দেন মামুন আখতার। তার পর থেকেই বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের টেন্ডার নিয়ে একাধিক ঠিকাদারের সঙ্গে তাঁর মত বিরোধ হয়েছে বলে ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। স্বচ্ছতা আনার জন্য পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনের অনুমান, দীপকবাবুরা কাজের বরাত পাওয়া নিয়েই বিডিও-র উপরে
ক্ষুব্ধ ছিলেন।

চন্দনাদেবীর বক্তব্য, ‘‘আমার স্বামী পঞ্চায়েতের কাজ কর্ম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’ মামুন আখতারের কথায়, ‘‘সবই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ মালদহের জেলা শাসক শরদকুমার দ্বিবেদী জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

maldah kaliachowk bdo congress beating
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy