E-Paper

বঙ্গ কংগ্রেসের দেখভাল কাশ্মীরের নেতার হাতে

পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতানেত্রীদের মধ্যে দীপা দাশমুন্সি বরাবরই গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন বলে পরিচিত। দীপা দাশমুন্সিকে কেরল, লক্ষদ্বীপ ও তার সঙ্গে তেলঙ্গানারও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:১৫
congress

—প্রতীকী ছবি।

কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের নেতার হাতে বঙ্গের কংগ্রেসের ভার চলে গেল।

এত দিন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গের ভার ছিল তামিলনাড়ুর নেতা এ চেল্লাকুমারের হাতে। আজ কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদলে সেই ভার চলে গেল জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা গুলাম আহমেদ মীরের হাতে। মীর বেশ কিছু দিন জম্মু-কাশ্মীরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। তার আগে বিধায়কও হয়েছেন। তাঁকে অবশ্য মূলত ঝাড়খণ্ডের ভার দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের ভার দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গ যে কংগ্রেস হাই কমান্ডের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই, এই সাংগঠনিক রদবদলে তা আরও একবার প্রমাণিত হল।

পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতানেত্রীদের মধ্যে দীপা দাশমুন্সি বরাবরই গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন বলে পরিচিত। আজ দীপা দাশমুন্সিকে কেরল, লক্ষদ্বীপ ও তার সঙ্গে তেলঙ্গানারও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে কোনও না কোনও দায়িত্বে দেখা গিয়েছে। তেলঙ্গানা বিধানসভা ভোটে প্রস্তুতির দেখভাল করতে তাঁকে ‘সিনিয়র’ পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। তারপরে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটিতে নেওয়া হয়। তেলঙ্গানায় এখন কংগ্রেসের সরকার। রাহুল গান্ধী এখন কেরল থেকে সাংসদ। দীপার নতুন দায়িত্ব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কংগ্রেস শিবির।

কংগ্রেস কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের দু’দিন পরে দলের সাংগঠনিক রদবদলে ইঙ্গিত মিলেছে, মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল ও সনিয়া গান্ধী এ বার প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে গোটা দেশে নির্বাচনের প্রচারে নামাতে চাইছেন। প্রিয়ঙ্কার হাতে এত দিন উত্তরপ্রদেশের ভার ছিল। গত বিধানসভা ভোটের পরে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু তার বদলে নির্দিষ্ট ভূমিকা দেওয়া হয়নি। প্রিয়ঙ্কাকে ইস্তেহার কমিটিতে রাখা হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, প্রিয়ঙ্কাকে লোকসভা ভোটের প্রচার ও ব্যবস্থাপনায় বড় ভূমিকায় দেখা যাবে।

কংগ্রেস সভাপতির পদে মল্লিকার্জুন খড়্গে থাকলেও দলের রাশ যে এখনও রাহুল গান্ধীর হাতে, তা বুঝিয়ে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যোগাযোগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদে রাহুলের আস্থাভাজন দুই নেতা কে সি বেণুগোপাল ও জয়রাম রমেশই থাকছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে দিল্লির নেতা অজয় মাকেনের সঙ্গে মুম্বইয়ের মিলিন্দ দেওরা ও পঞ্জাবের বিজয় ইন্দর সিংলাকে যুগ্ম কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের নেতা, প্রয়াত মুরলী দেওরার পুত্র মিলিন্দের সঙ্গে মুম্বইয়ের শিল্পপতিদের সুসম্পর্ক রয়েছে। রাজস্থানের সচিন পাইলটের ক্ষোভ প্রশমিত করতে তাঁকে ছত্তীসগঢ়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ভার দেওয়া হয়েছে অবিনাশ পান্ডেকে। কর্নাটকে কংগ্রেস জয়ের অন্যতম কারিগর রাহুল-ঘনিষ্ঠ রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা কর্নাটকের দায়িত্বে থাকছেন। তবে তাঁকে মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Congress West Bengal Jammu and Kashmir

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy