Advertisement
E-Paper

জামিন পেয়ে নির্যাতনের অভিযোগে সরব সন্ময়

খড়দহ থানায় রাতভর তাঁর উপরে নির্যাতন করা হয়েছে এবং ‘পিসি-ভাইপোর জঙ্গলের রাজত্বে’র বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে— এই দুই অভিযোগ তুলেছেন সন্ময়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৩
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখের জল মুছিয়ে দিচ্ছেন দাদা তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার পুরুলিয়ায়। ছবি: সুজিত মাহাতো

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখের জল মুছিয়ে দিচ্ছেন দাদা তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার পুরুলিয়ায়। ছবি: সুজিত মাহাতো

শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হল কংগ্রেসের মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পুরুলিয়া আদালতের সিজেএম মহম্মদ মহীদুল্লার এজলাসে রবিবার তাঁকে তোলা হলে জামিন দিয়ে আগামী এক মাস সপ্তাহে এক দিন করে পুরুলিয়ায় তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে তাঁকে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জামিন পাওয়ার পরেই সন্ময়বাবু জোড়া অভিযোগে ফের সরব হয়েছেন। খড়দহ থানায় রাতভর তাঁর উপরে নির্যাতন করা হয়েছে এবং ‘পিসি-ভাইপোর জঙ্গলের রাজত্বে’র বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে— এই দুই অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বলেছেন, ‘‘গণতন্ত্রে সকলেরই নিজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতার নাম করে মিথ্যা আর কুৎসা করা তো সেই স্বাধীনতা নয়। যাঁদের সম্পর্কে এ সব বলছেন, তাঁরা তো আঘাত পাচ্ছেন।’’ সন্ময়বাবুর নাম না করেই গণতন্ত্রে দ্বিমত ও সহিষ্ণুতার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘‘সন্ময়ের উপরে যে ভাবে পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করেছিল, তার বিরুদ্ধে আইনের পথে দল লড়বে। রাজ্য সরকারের হাতে গণতন্ত্র-হত্যার বিরুদ্ধে বামপন্থী দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে পথ নেমে লড়াই হবে।’’ যদিও ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, পুলিশের নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি কোনও অভিযোগ পাননি।

জামিন পেয়ে বেরোনোর পরে সন্ময়বাবুকে অভ্যর্থনা জানান পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। আর সন্ময়বাবু অভিযোগ করেন, ‘‘থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগের কথা শুনেছিলাম। এ বার বুঝলাম। মারতে মারতে গলি দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয়। রাত ৮টা থেকে ভোর ৪টে ৪০ পর্যন্ত শুধু পাজামা পরিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। পিছনে ৪০-৫০টা ঘুষি মারা হয়েছিল।’’ পড়ে যাওয়ার পরেও আমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়, জল খেতেও দেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। ‘‘যদি কিছু ভুল করে থাকি, তবে মানহানির মামলা হতে পারে। আদালতের নির্দেশ মাথা পেতে নেব। কিন্তু পুলিশ দিয়ে এ ভাবে অত্যাচার আর কোনও মানুষের সঙ্গে যেন না হয়’’— বলতে বলতে ভেঙে পড়েন সন্ময়বাবু।

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের সিপি মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘এমন অভিযোগ আমি এখনও পাইনি। তেমন কিছু ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে বলতে পারব না। তবে যদি কোনও অভিযোগ হয়, তা হলে নিশ্চয়ই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পার্থবাবুরও বক্তব্য, ‘‘যদি এই রকম কিছু হয়, তিনি প্রশাসনের উচ্চ স্তরে তা জানাবেন। তারা দেখবে।’’

Sanmoy Bandyopadhyay Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy