প্রতীকী ছবি।
পুজোর পর থেকে যৌথ ভাবে রাস্তায় নামার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। পুজোর আগেই মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর সার্ধ-শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানাল প্রদেশ কংগ্রেস। প্রশাসকের অধীনে থাকা পুরসভাগুলিতে অবিলম্বে নির্বাচন দাবি এবং স্থানীয় স্তরে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরুর জন্যও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে কথা বললেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য।
গাঁধীর জন্মের দেড়শো বছর উপলক্ষে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করছে প্রদেশ কংগ্রেস। তার বিষয় ‘বাংলায় বাপু’। ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে প্রদর্শনী করতে চাইলেও অনুমতি মেলেনি। শেষ পর্যন্ত বিধান ভবনের বাইরে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে প্রদর্শনী। তার সূচনায় সে দিন উপস্থিত থাকার জন্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবু। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তিন বাম শরিক দল সিপিআই, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের তিন রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ চৌধুরী ও নরেন চট্টোপাধ্যায়কেও।
পুরসভা, পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় স্তরের নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখভালের জন্য প্রদেশ কংগ্রেসে যে সাব-কমিটি তৈরি হয়েছে, তার প্রথম বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার। কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপবাবু এ দিন কথা বলেন সূর্যবাবুর সঙ্গে। প্রদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ যে সব পুরসভায় সরকারি প্রতিনিধি বসিয়ে বকলমে তৃণমূলের রাজ চালানো হচ্ছে, সেখানে অবিলম্বে নির্বাচন করতে হবে।’’ এই দাবি নিয়ে একসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দরবার করার প্রস্তাব সূর্যবাবুকে দিয়েছেন তিনি। সূর্যবাবুও জানিয়েছেন, দ্রুতই প্রতিনিধিদল পাঠানোর ব্যবস্থা হবে।
কংগ্রেস-সহ গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চ গড়ার যে প্রস্তাব ফ ব-র রাজ্য কাউন্সিলে গৃহীত হয়েছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন সোমেনবাবু। তাঁর সুরেই ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘পুরুলিয়া রাজ্য সম্মেলনে তখনকার পরিস্থিতি বিচার করে বামফ্রন্টগত ভাবে চলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এখন অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক হয়ে পথে নামতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy