সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাধারণ বদলি ফের সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু শুরুতেই অন্তত দু’টি বদলি ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে।
একটি ক্ষেত্রে এক পুরুষ শিক্ষককে মেয়েদের স্কুলে বদলি করা হয়েছে। শিক্ষক বদলির বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী যেটা সম্ভব নয় বলে শিক্ষকদের একাংশের অভিমত। দ্বিতীয় ঘটনায় এক গ্রন্থাগারিককে এমন একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে, যেখানে ওই পদই নেই! ওই গ্রন্থাগারিক জানান, বদলির জন্য তিনি যে-তিনটি বিদ্যালয় বেছে নিয়েছিলেন, সেই তালিকায় ওই স্কুলের নাম ছিল না। শিক্ষা শিবিরের বক্তব্য, শিক্ষক বদলিতে অনিয়মের অভিযোগ আগেও আকছার উঠত। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির কাছের স্কুলে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরে আশা করা হচ্ছিল, নতুন ব্যবস্থায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ কমবে। কিন্তু আবার অনিয়মের এই সব ঘটনায় বদলির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কোচবিহারের গোপালপুর হাইস্কুল থেকে এডুকেশন বা শিক্ষাতত্ত্বের এক শিক্ষককে সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধমুয়া বালিকা বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। প্রথম অভিযোগ, ওই স্কুলে এডুকেশনের কোনও শূন্য পদ নেই। তা সত্ত্বেও ওই শিক্ষককে কী ভাবে সেখানে বদলি করা হল, সেই প্রশ্ন উঠছে। দ্বিতীয় অভিযোগ, মেয়েদের স্কুলে পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ করা হল কেন? বদলির বর্তমান নিয়মে ছেলেদের স্কুলে শিক্ষিকা নিয়োগ করা গেলেও মেয়েদের স্কুলে পুরুষ শিক্ষক নিয়োগের সংস্থান নেই। ধমুয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শেফালি সরকার বলেন, “আমাদের এখানে এডুকেশনের শিক্ষকপদ ফাঁকা নেই। কী ভাবে এই নিয়োগ হচ্ছে, আমার জানা নেই। শিক্ষা দফতরই যা বলার বলতে পারবে।”