Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিতর্কে বিদ্ধ এ বার বিসিএস গ্রুপ সি-ও 

গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত ওই চার প্রার্থীর অদ্ভুত মিলকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন অন্য প্রার্থীদের একাংশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রোশনী মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৫
Share: Save:

নতুন অভিযোগের জেরে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ২০১৭ সালের ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা।

২০১৭-র ডব্লিউবিসিএস-এর গ্রুপ সি-র সফল প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে গত শুক্রবার। পরীক্ষার আয়োজক ছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। তালিকায় মুর্শিদাবাদের চার প্রার্থীর নামের উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ওই চার প্রার্থীর রোল নম্বর যথাক্রমে— ১৩০০৩০৬, ১৩০০৩০৭, ১৩০০৩০৮ এবং ১৩০০৩০৯। চার জনেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে গণিতে স্নাতক হয়েছেন। বিসিএস পরীক্ষায় চার জনেরই ঐচ্ছিক বিষয় ছিল ইতিহাস। বিসিএস-এর প্রিলিমিনারি এবং মেন পরীক্ষায় ঞচার জনের প্রাপ্ত নম্বরও একেবারে গায়ে গায়ে! শেষ পর্যন্ত পিএসসি ৩০৬, ৩০৮ রোল নম্বরের প্রার্থীকে অধস্তন ভূমি রাজস্ব পরিষেবা (ওয়েস্ট বেঙ্গল সাবর্ডিনেট ল্যান্ড রেভিনিউ সার্ভিস, গ্রেড ১) এবং ৩০৭, ৩০৯ রোল নম্বরের প্রার্থীকে জয়েন্ট বিডিও পদের জন্য বাছাই করেছে। গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত ওই চার প্রার্থীর অদ্ভুত মিলকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন অন্য প্রার্থীদের একাংশ।

এর আগে ২০১৭ সালের বিসিএস-এর গ্রুপ এ-তে এক প্রার্থীর ইংরেজির নম্বর শূন্য থেকে বেড়ে ১৬২ এবং বাংলায় ১৮ থেকে বেড়ে ১৬৮ হওয়া নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। গ্রুপ সি-র চূড়ান্ত তালিকা দেখে প্রার্থীদের একাংশের বক্তব্য, বিসিএস-এ পাশাপাশি রোল নম্বরের পরীক্ষার্থীরা সব সময় পাশাপাশি বসেই পরীক্ষা দেন। উপরন্তু, ওই চার প্রার্থীর জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, স্নাতকের বিষয়, স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার বছর এবং বিসিএস-এর ঐচ্ছিক বিষয় এক হওয়ায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা পূর্ব পরিচিত বন্ধু। পর পর রোল নম্বর থাকায় তাঁরা পাশাপাশি বসেই প্রিলিমিনারি এবং মেন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পিএসসি সূত্রের খবর, প্রিলিমিনারিতে ৩০৬, ৩০৭, ৩০৮ এবং ৩০৯ রোল নম্বরের পরীক্ষার্থীরা পেয়েছেন যথাক্রমে ১২৩.৪৪, ১২৬.১১, ১২৯.৭৩, ১২৬.১১। মেন পরীক্ষায় প্রথম পত্র অর্থাৎ বাংলা ভাষায় ওই চার জন যথাক্রমে পেয়েছেন ১০২, ১০২, ৮৮ এবং ১০৩। দ্বিতীয় পত্রে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৮৩, ১১২, ১২২ এবং ১০৮। তৃতীয় পত্রে তাঁরা পেয়েছেন যথাক্রমে ১১৮.৪৭, ১২১.৪৭, ১২২.৪৭ এবং ১২০.১৪। চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পত্রেও ওই চার পরীক্ষার্থীর নম্বর একেবারে কাছাকাছি। এই প্রেক্ষিতেই বিসিএস গ্রুপ সি-র প্রার্থীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তা হলে কি ওই চার জনের সাফল্যের পিছনে কোনও ‘অসাধু উপায়’ রয়েছে?

এ বিষয়ে পিএসসি-র চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দাশগুপ্তের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আপনাকে কিছু বলতে পারব না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

WBCS Controversy Recruitment PSC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy