আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ডেউচা-পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লাখনির বিষয়টিকে সামনে রেখে কয়েকটি সংগঠনের ডাকে আবার এক মঞ্চে এলেন সিপিএম, কংগ্রেস, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। মৌলালি যুব কেন্দ্রে বুধবার ‘সংহতি কনভেনশনে’র ওই মঞ্চ থেকে ঠিক হয়েছে ১৫ নভেম্বর, বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ডেউচা-পাঁচামি জুড়ে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে।
কয়লাখনির নামে ব্যাসল্ট খনন, জমি অধিগ্রহণ, প্রশাসনের দমন-পীড়ন বন্ধ, খনির বরাত হাতবদল নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত-সহ ৬ দফা দাবিকে সামনে রেখে অধিবেশনে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেই সঙ্গে দাবি তোলা হয়েছে, আদিবাসী ও স্থানীয় মানুষের সম্মতি ছাড়া প্রকল্প করা যাবে না। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
অধিবেশন থেকে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “লুট করতে ঝুট চালানো হচ্ছে। কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য সরকারের মিথ্যা বেরিয়ে এসেছে। আদিবাসী-মুসলিম, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, স্থানীয়-বহিরাগত, এমন নানা বিভাজনের চেষ্টাও চলছে।” অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেছেন, “সরকার সদর্থক ভূমিকা পালন করেনি। শিল্প-সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হাই কোর্টের বয়ানের ফারাক রয়েছে। পুলিশি নির্যাতন চলছে। ঘটনাস্থলে ব্যবসার নামে দালালি চলছে।” উত্তরবঙ্গের পাহাড় ‘ধ্বংসে’র উদাহরণ দিয়ে লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদারের বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে জমির লুট বড় বিপদ। এই প্রতারণা সর্বত্রগামী। পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার সামগ্রিক আন্দোলনের বিচারে ডেউচা-পাঁচামির লড়াইকে দেখে প্রতিরোধ গড়তে হবে।” অধিবেশন সঞ্চালনা করেছেন কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ বসু। ছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম, সারা ভারত খেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবী ইউনিয়নের নেত্রী বন্যা টুডু, টিইউসিআই নেতা অলীক চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতির নেত্রী অনুরাধা তলোয়ার, সিটু-র রাজ্য সম্পাদক জিয়াউল আলম, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে প্রমুখ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)