এক মাসের বেশি সময় ভেন্টিলেশনে থেকেও করোনাকে পরাজিত করে বাড়ি ফিরলেন দক্ষিণ কলকাতার এক বাসিন্দা। চিকিৎসকদের দাবি, ভারতে কোনও কোভিড-১৯ রোগীর ক্ষেত্রে এ রকম আর উদাহরণ নেই। গোটা বিশ্বের নিরিখেও এই ফিরে আসা ‘মিরাক্ল’ বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের।
টালিগঞ্জের বাসিন্দা ৫২ বছরের নিতাইদাস মুখোপাধ্যায় কলকাতার পরিচিত এক জন সমাজসেবী। গত ২৯ মার্চ প্রচণ্ড জ্বর এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হন ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরের দিনই তাঁর লালারসের নমুনা পজিটিভ পাওয়া যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তীব্র শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাঁকে ৩০ মার্চই ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তার পর থেকে কার্যত চলতে থাকে যমে-মানুষে টানাটানি।
এর মধ্যেই ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল পর পর দু’দিন ওই রোগীর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দু’বারই নেগেটিভ আসে ফল। কিন্তু করোনামুক্ত হওয়ার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ওই রোগীর। তীব্র শ্বাসকষ্ট থেকে যায়। ফলে ভেন্টিলেটর থেকে তাঁকে বার করা সম্ভব হয়নি। তাঁর কৃত্তিম শ্বাস প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে হয় চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২ মে পর্যন্ত পুরোপুরি তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তার পর থেকে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলে দিনে ১২ ঘণ্টা করে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। এর পরে ৫ মে তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে এইচডিইউ (হাই ডেফিনেশন ইউনিট)-এ স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতার অবস্থা উদ্বেগজনক, বহু এলাকা নিয়েই চিন্তায় পুরসভা
শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। টানা ৩৮ দিন কোনও কোভিড পজিটিভ রোগী ভেন্টিলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, এমন উদাহরণ এ দেশে নেই বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের। তাঁদের অভিজ্ঞতায়, হয় ১০-১২ দিন কোভিড রোগী ভেন্টিলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে যান, নয়তো তাঁকে বাঁচানো যায় না। সে ক্ষেত্রে এই সমাজসেবীর উদাহরণ এক নয়া নজির তৈরি করেছে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
আরও পড়ুন: এ বছর দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হবে ০%, আরও ভয়াবহ পূর্বাভাস মুডিজ-এর
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)