ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার টিকাকরণ ঘিরে ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ছড়াল। বুধবার টিকার ডোজ নিতে ওই কেন্দ্রে ভিড় জমে যায়। ভিড়ের মাঝে শারীরিক দূরত্ব শিকেয় ওঠে। এমনকি, অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। এর মধ্যে শুরু হয় দফায় দফায় ধাক্কাধাক্কি-মারপিট। শেষমেশ পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে খবর দিতে হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে টিকা নিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ জন পৌঁছন। ভোর ৫টা থেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তাঁরা। অনেকেই ছিলেন মাস্কবিহীন । এমনকি, একে অপরের মধ্যে দূরত্ব বজায় না-রেখেই অপেক্ষা করতে থাকেন অনেকে। সকাল থেকে টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই আবার ধৈর্য হারান। যার জেরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। এর মধ্যে অনেকেই টিকা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধূপগুড়ি থানায় খবর দেন স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। পুলিশ মোতায়েন করে ফের টিকাকরণ শুরু হয়।
অনেকের মতো এই কেন্দ্রে এসেছিলেন কিশোরকুমার দাস। পেশায় শিক্ষক কিশোর বলেন, ‘‘ধূপগুড়ি হাসপাতালের যা অবস্থা দেখলাম, তাতে টিকা নিতে এসে করোনা নিয়ে যেতে হবে। চরম বিশৃঙ্খলা, আতঙ্কে টিকা নিলাম না।’’
টিকা নিতে এসে দুর্ভোগের মুখে পড়েছিলেন দুলালচন্দ্র রায়ও। তিনি বলেন, ‘‘সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে। দুপুর১টাতেও টিকা পেলাম না। যা অবস্থা, তাতে সংক্রমণ আরও ছড়াবে। হাসপাতালেই সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। একে অপরের গায়ের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বেশ কয়েক বার মারপিট হল লাইনে। ৫০০-র বেশি লোক জমা হয়েছে। তবে হাসপাতাল থেকে বলছে, ২০০-র বেশি টিকা দেবে না।’’
যদিও হাসপাতালের অব্যবস্থার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘টিকাকরণের জন্য ২টি কেন্দ্র করা হয়েছিল। তবে প্রথম দিকে ভিড় হয়নি। দুপুরের পর থেকে হঠাৎই ভিড় হতে থাকে। তবে এখন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টিকাকরণ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy