প্রতীকী ছবি।
রাজ্য জুড়ে করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের থেকে বাড়ল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেড়শোর বেশি কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এক জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও সংক্রমণের দৈনিক হারে কোনও বদল হয়নি।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৪ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবারের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল যে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় একশো জন সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হলেও এর হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ আগের দিনের মতোই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের দৈনিক হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ দাঁড়িয়েছে ১.৮৪ শতাংশে। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,৩৪৭টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৫৪টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২,৫৬১। তাঁদের মধ্যে ২,৪৪৪ জন গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া, ২৪ ঘণ্টায় ১,৭৮,৭১৮ জনকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy