দৈনিক সুস্থতায় ফের রেকর্ড। টানা ১০ দিন ধরে রাজ্যে করোনার ছবিটা ঠিক এ রকমই। এই প্রবণতাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেখানে দৈনিক সংক্রমণকে ছাপিয়ে গিয়েছে দৈনিক সুস্থতা। শনিবারও তার অন্যথা হল না।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৪৭৯ জন। ফলে মোট সুস্থের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৬। দৈনিক সুস্থতা বাড়তে থাকায় সুস্থতার হারও বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী এ দিন সুস্থতার হার ৯১.০৪ শতাংশ।
দৈনিক সুস্থতার দিক থেকে কলকাতা শীর্ষস্থানে রয়েছে। এখানে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৯৫ জন। তার পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা(৮৩৭), হুগলি(২৬৮), হাওড়া(২৪৬) এবং পশ্চিম মেদিনীপুর(২১৬)।
দৈনিক সুস্থতার দিক থেকে কলকাতা শীর্ষস্থানে রয়েছে। এখানে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৯৫ জন। তার পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা(৮৩৭), হুগলি(২৬৮), হাওড়া(২৪৬) এবং পশ্চিম মেদিনীপুর(২১৬)।
দৈনিক সুস্থতা যেমন বাড়ছে, অন্য দিকে দৈনিক সংক্রমণও অল্প অল্প করে কমছে। নভেম্বরের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী এ দিন সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২৩ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৯৮। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার(৮৩৬) পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা(৮২০)। তার পরে রয়েছে হুগলি(২৯৩), দক্ষিণ ২৪ পরগনা(২২৮)।
মৃত্যুর গ্রাফটাও একটু একটু করে নামছে। এক সময় যে সংখ্যাটা দৈনিক ৬০ উপরে উঠেছিল, এখন তা ৫০-এর ঘরে ঘোরাফেরা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। তার মধ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি মারা গিয়েছেন। ওই দুই জেলাতেই ১৩ জন করে মারা গিয়েছেন করোনায়।
(গ্রাফে হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)
প্রতি দিন যত সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ১২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই হিসেবে শনিবার সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৮.৬৬ শতাংশ।