Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

রাজ্যে সুস্থতার হার প্রায় ৭৩ শতাংশ, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৫৪ জনের

তবে সুস্থতার হার বাড়লেও রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২০ ২১:৪৯
Share: Save:

প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। তার মধ্যেই স্বস্তি জোগাচ্ছে সুস্থতার হার। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনে দেখা গিয়েছে, বাংলায় এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৭২.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪ হাজার ৩২৬ জন নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও, এঁদের সিংহভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭৬ হাজার ১২০ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৫ জন। তাতেই রাজ্যে সুস্থতার হার একধাক্কায় প্রায় ৭৩ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।

প্রতি দিন যত জন রোগীর কোভিড-টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত সংখ্যক রোগীর কোভিড-রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, তাকে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্যে সংক্রমণের হার ১০.৫৯ শতাংশ। গত এক মাসে এই প্রথম সংক্রমণের হার এত নীচে নামল। এর আগে, ৯ জুলাই রাজ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম ছিল, ১০.০৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন: কমল আরও এক দিন, রাজ্যে ২৮ অগস্ট হচ্ছে না পূর্ণ লকডাউন​

তবে সুস্থতার হার বাড়লেও রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৩৬ জন। অবশ্য গত কয়েক দিন ধরেই সংখ্যাটা তিন হাজারের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। মঙ্গলবার রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন ২ হাজার ৯৩১ জন। সোমবার ২ হাজার ৯০১ জন নতুন করে সংক্রমিত হন।

এর পাশাপাশি এ দিন, রাজ্যে মৃতের সংখ্যাও ফের ৫০-এর কোটায় প্রবেশ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৫৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাতে সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৩-এ। এর মধ্যে কলকাতাতেই এখনও পর্যন্ত ৯৯৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন।

কলকাতার পর এই তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখনও পর্যন্ত ৫১২ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া এবং জলপাইগুড়িতেও ৩ করে মারা গিয়েছেন। ২ জন করে করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, পুরুলিয়ায় ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। এ দিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮০ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এ দিন নতুন করে ৫৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ৬৬২ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে এ দিন যথাক্রমে ২৫৫, ২৭২ এবং ১১৩ জন নতুন করে সংক্রমিত হন।

আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের​

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE