Coronavirus in West Bengal: রাজ্যে নতুন আক্রান্ত সামান্য কমে ১৮৫২, দৈনিক মৃত্যু বেড়ে ৪৭

রাজ্য জুড়ে সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের জেরে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি দিনই কমছে। নতুন সংক্রমণ ক্রমশ নিম্নমুখী হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ফের ৫০-এর কাছাকাছি কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ জন বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। কলকাতায় কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যাও আগের দিনের থেকে বেড়ে ১১ হয়েছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষাধিক কোভিড টিকাকরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৫২। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার বাসিন্দা যথাক্রমে ২০৭ ও ১৭২। এ ছাড়া, দার্জিলিং (১৭১), পূর্ব মেদিনীপুর (১৫১), পশ্চিম মেদিনীপুর (১২৪), হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১১৫) জেলায় দৈনিক সংক্রমণ ১০০-র গণ্ডি পার করেছে। পাশাপাশি, হুগলি (১০৮) এবং নদিয়া (১০৭) জেলাতেও সংক্রমিতের দৈনিক সংখ্যা ১০০-র কিছু বেশি। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৩৮। এই মুহূর্তে রাজ্যে ২২ হাজার ৫০৮ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৭ হাজার ৪৩৭ জনের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় মোট ৪ হাজার ৮৫৯ জন মারা গিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজারের (৪,৪০৯) গণ্ডি পার করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ দিনে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা ছাড়াও হুগলিতে ৭ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, নদিয়ায় ৪, হাওড়ায় ৩, জলপাইগুড়িতে ২, আলিপুরদুয়ার-দার্জিলিং-পশ্চিম মেদিনীপুর-পূর্ব বর্ধমান-দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করে আক্রান্ত করোনার বলি হয়েছেন।

সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়াও টিকাকরণ এবং কোভিড পরীক্ষাই অন্যতম হাতিয়ার বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে টিকাকরণের সংখ্যা যথাসম্ভব বাড়ানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৫১ হাজার ২৩৩টি।

নতুন আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হওয়ায় সংক্রমণের দৈনিক এবং মোট হারেও এর প্রভাব পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৩.৬৭ শতাংশে। অন্য দিকে, মোট হার হয়েছে ১০.৭৮ শতাংশ।