শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ)-র বহু কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় আইএএস অফিসার গোদালা কিরণ কুমারকে চার দিনের জন্য হেফাজতে নিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ পিনটেল ভিলেজের সিআইডি দফতর থেকে শারীরিক পরীক্ষার পর গোদালাকে শিলিগুড়ি আদালতে নিয়ে আসা হয়। আড়াইটে নাগাদ শুরু হয় শুনানি। সরকারি আইনজীবী দীননাথ মোহন্ত আদালতে জানান, ২০১৩ থেকেই সিআইডি এ বিষয়ে তদন্ত করছে। সিআইডি সূত্রের বক্তব্য, হাওয়ালার মাধ্যমে গোদালা যে হায়দরাবাদে আত্মীয়দের কাছে অন্তত ছ’কোটি টাকা পাঠিয়েছেন, সে প্রমাণও তাদের হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে আরও জেরার জন্যই গোদালার সিআইডি হেফাজত চান আইনজীবী।
কুড়ি মিনিট শুনানির শেষে গোদালাকে চার দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় শিলিগুড়ি আদালত। এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন গোদালার স্ত্রী সামান্যা কিরণ কুমারও। গোদালার আইনজীবীর অবশ্য দাবি, তাঁর মক্কেল ছিলেন এসজেডিএ-র বোর্ডে নির্বাহী আধিকারিক। বোর্ড যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোদালা তাতেই স্বাক্ষর করেছেন। তাই বোর্ডের অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতার করা উচিত।
ময়নাগুড়িতে শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি না বসিয়ে এক ঠিকাদারকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা দেওয়ার অভিযোগে গোদালার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির পিনটেল ভিলেজে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। যদিও গোদালার এক আইনজীবী দাবি করেছেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে তাঁদের মক্কেলকে ধরা হয়েছে। ২০১৩ সালে এসজেডিএ-র বিভিন্ন প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তের পরে তৎকালীন চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব পান গৌতমবাবু। এর পরে গোদালা কিরণ কুমারকে বদলি করা হয়। তিনি মালদহের জেলাশাসক হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy