ফাইল চিত্র।
সঙ্গীতভবনের অধ্যাপিকার চাকরি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শনকে মাথায় রেখেই ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, আদালত আশা করে যে, রবীন্দ্রনাথ জীবনভর যে আদর্শে শিক্ষার উৎকর্ষতার সাধনা করেছেন, উপাচার্য সেই পথেই এগোবেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ও রবীন্দ্র-দর্শনকে পাথেয় করেই এগিয়ে যাবে।
সঙ্গীতভবনের মণিপুরি নৃত্যের অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেতন বন্ধ সংক্রান্ত মামলায় মণিপুরি নৃত্য ও রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যের সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই প্রসঙ্গ তুলেই বিচারপতিরা বলেছেন, সেই বিশ্বভারতীতেই এক জন মণিপুরি নৃত্যের অধ্যাপিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যায় না।
শ্রুতিদেবী ২০১৪ সালে বিশ্বভারতীতে যোগ দেন। সে সময় পাঁচটি বর্ধিত ভাতার বদলে তাঁকে চারটি ভাতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে সেই বর্ধিত ভাতা বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়। তার পর লকডাউন পর্বে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে বেতন বন্ধ করা হয়। শ্রুতিদেবীর পরিবার সূত্রের দাবি, তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগও দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, মামলা চলাকালীন বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও ডিভিশন বেঞ্চ বেতন মিটিয়ে দিতে বলে। তা পালন না-করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা তলব করে। ২৩ ডিসেম্বর সেই ব্যাখ্যা জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। তার পরে বৃহস্পতিবারও বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ বহাল রেখেছে আদালত। তবে বেতনের যে ২১ হাজার টাকা নিয়ে গোলমাল, তা মামলা না-মেটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে পৃথক একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy