প্রতীকী ছবি।
করোনা আক্রান্ত ক্যান্সার রোগীর সংস্পর্শে আসায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের মোট ৬০ জনকে পাঠানো হল কোয়রান্টিনে। চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্স চালকও রয়েছেন এই তালিকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই হাসপাতালে রীতিমতো উদ্বেগে রোগীর আত্মীয় থেকে চিকিৎসাকর্মীরাও।
প্রত্যেকেরই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ টেস্টের জন্যে পাঠানো হবে। সালারের এক করোনা আক্রান্তকে প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। সেখানে তাঁর করোনার উপসর্গ ধরা পড়ে। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি মারাও যান। এই পরই এই দুই হাসপাতালে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওই ৬০ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে ওই করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ক্যান্সার রোগীর সংস্পর্শে আসায় বর্ধমান হাসপাতালের ৩৮জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়রান্টিনে। একই সঙ্গে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা মিলে আরও ১৬ জন রয়েছেন। বাকি ৬ জন অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- মেডিক্যালে আরও ৪ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত, নেগেটিভ রিপোর্ট ৫৫ জনের
ঠিক একই ভাবে হাওড়া হাসপাতাল, এনআরএস, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আরজিকর, এমনকি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসা করতে গিয়ে রোগীদের সংস্পর্শে আসায় অনেককেই কোয়রান্টিনে যেতে হয়েছে। আবার অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে ডাক্তার, নার্স যেমন রয়েছেন, তেমনই হাসপাতালে যাঁরা অন্যান্য কাজ করেন, তাঁরাও রয়েছেন। সেই তালিকায় নাম উঠল এ বার বর্ধমান এবং কাটোয়া হাসপাতালের।
আরও পড়ুন: আজ থেকে কিছু ছাড়, তবে হটস্পটে কড়া নিয়মে সিল বহু পাড়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy