বৃহস্পতিবার রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৯০২ জন। প্রতীকী ছবি।
করোনা শূন্য জেলার সংখ্যা বঙ্গে আর নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র দু’টি জেলাতে সংক্রমণ শূন্য। ধীর গতিতে হলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বুধবার ২৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পজ়িটিভিটি রেট ১৪.০৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৯০২ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮২ জন। কিডনির সমস্যা নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বাসিন্দা বছর পনেরোর এক কিশোর গত ৮ এপ্রিল আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। পরে তার করোনা ধরা পড়ে। মৃত্যু হয় এ দিন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় সংক্রমণের হার (২৫.৩৩%) সব থেকে বেশি। পিছনে রয়েছে কালিম্পং (২২.২২%), বীরভূম (২১.৮০%), নদিয়া (২০.১৩%), উত্তর ২৪ পরগনা (২০%), পশ্চিম বর্ধমান (১৭.৯৭%), হাওড়া (১৫.৪৬%) এবং বাঁকুড়া (১২.৫০%)। একমাত্র ঝাড়গ্রাম ও আলিপুরদুয়ারে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। বয়স্ক ও কোমর্বিডিটিতে আক্রান্তদের বাড়তি সতর্কতা বিষয়ে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড আক্রান্তদের অধিকাংশেরই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। আনন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পালমোনোলজিস্ট সিভারেস্মি উন্নিনাথের কথায়, ‘‘এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীদের মধ্যে ৮০ শতাংশের সিওপিডি, হাঁপানি এবং ইন্টারস্টিশিয়াল লাং ডিজ়িজ (আইএলডি)-র সমস্যা রয়েছে। শেষ কয়েক মাসে হাঁপানি রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy