Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
School Reopening

School Reopen: বন্ধুদের সঙ্গে এক বেঞ্চে বসা... আলাদাই মজা, পুরনো ছবি ফিরল রাজ্যের স্কুলগুলিতে

বুধবারও থার্মাল গানের মাধ্যমে তাপমাত্রা মেপে, হাত স্যানিটাইজ করে স্কুলে ঢুকতে হয়েছে পড়ুয়াদের। দূরত্ববিধি মেনে অধিকাংশ স্কুলে হয়েছে প্রার্থনা।

সেই পুরনো ছবি। 

সেই পুরনো ছবি। 

নিজস্ব প্রতিবেদন
মহিষাদল শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২১ ০০:৩৯
Share: Save:

স্কুলের গেটের সামনে এসে সন্তানের ব্যাগে টিফিনের বাক্স ভরে দিচ্ছেন মায়েরা। তার পর হাত নেড়ে এক এক করে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে ছেলেমেয়েরা।

অতিমারির সঙ্কট-পর্ব কাটিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যে স্কুল খোলার পর বুধবারও সেই ছবিই দেখা গেল জেলায় জেলায়।

এত দিন পর স্কুলে এসে আত্মহারা পড়ুয়ারা। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল গার্লস হাই স্কুলের মাধ্যমিকের ছাত্রী গার্গী হাজরার কথায়, “ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাসে সমস্যা হত। এ বার সামনাসামনি ক্লাস শুরু হল। স্কুলে আসতে পেরে আমরা খুব খুশি। আবার বন্ধুদের সঙ্গে এক বেঞ্চে বসে ক্লাস। আলাদাই মজা এ সবের।’’

বুধবারও সকালে থার্মাল গানের মাধ্যমে তাপমাত্রা মেপে, হাত স্যানিটাইজ করে স্কুলে ঢুকতে হয়েছে পড়ুয়াদের। দূরত্ববিধি মেনেই অধিকাংশ স্কুলে হয়েছে প্রার্থনা। সরকারী নির্দেশ মেনে দুই দফায় ক্লাস হচ্ছে মহিষাদল গার্লস হাই স্কুলে। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হচ্ছে নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস। চলছে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১০টায় আসছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়ারা। চলছে বিকেল ৪টে ১৫ পর্যন্ত। প্রধান শিক্ষিকা পারমিতা গিরি বলছেন, ‘‘অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের ভরসা করে পাঠিয়েছেন। তাঁদের সন্তানেরা যাতে সুস্থ থাকে, সেই দায়িত্ব আমাদেরও।’’

তবে দু’দফায় স্কুল চলার ফলে পড়ুয়াদের স্যানিজেশনের পিছনে অনেকটা সময় খরচ হয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনাতেও ব্যাঘাত ঘটছে বলেই মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। বারাসত কালীকৃষ্ণ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্তর বলছেন, ‘‘কোভিডবিধি মেনে যদি চারটে ক্লাসই এক সঙ্গে চালু করা যায় তা হলে শিক্ষকেরা ক্লাসে একটু বেশি সময় দিতে পারেন।’’

অন্য দিকে, দীর্ঘ দিন পর কলেজ খুলতে না খুলতে উত্তেজনা ছড়াল ধূপগুড়ির সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে। কলেজে ঢোকার সময় কিছু পড়ুয়া প্রমাণপত্র দেখাতে রাজি না-হওয়ায় গন্ডগোল বাঁধে। স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ চলে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে।

সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে এখনও চলছে ভর্তি প্রক্রিয়া। তাই এখনও আই কার্ড দেওয়া হয়নি পড়ুয়াদের। তাই কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভর্তির রসিদ দেখিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। ছাত্রী সোমা সরকার বলছেন, ‘‘আজ কয়েক জন ছাত্রছাত্রী রশিদ নিয়ে না আসায় তাঁদেরকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, দ্রুত আই কার্ড দেওয়া হোক।’’

অধ্যক্ষ নীলাংশু শেখর দাস বলছেন, ‘‘গতকাল কলেজ খুলেছে। ভর্তি এখনও চলছে বলেই সবাইকে আই কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি। সমস্যার কথা আমায় বলতে পারত ওঁরা। এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে এ ভাবে জমায়েত করে বিক্ষোভ আন্দোলন কোনও ভাবেই কাম্য নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Reopening Schools
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE