Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্কুলে নিয়োগ সমস্যার দায় বামেদের: শিক্ষামন্ত্রী 

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, প্রাথমিক স্তরে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত এক হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে যে-নির্দেশ দিয়েছে, সেটারও দায়ভার বাম আমলের।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০৪:১৯
Share: Save:

সাম্প্রতিক কালে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে-সব দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন, তার বেশির ভাগেরই দায়ভার পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের। কিন্তু সেই সব কিছুই এখন তাঁদের ঘাড়ে চাপছে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, প্রাথমিক স্তরে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত এক হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে যে-নির্দেশ দিয়েছে, সেটারও দায়ভার বাম আমলের। ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে আসলে মুখ পুড়ল বামফ্রন্টের। ওই আমলেই প্রাথমিকে চাকরি না-পেয়ে মামলা করেন বেশ কিছু প্রার্থী। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার স্পর্ধা আমাদের নেই,’’ বলেন মন্ত্রী।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানান, ২০০৬ সালে বাম আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাঁরা এক বছরের বেসিক ট্রেনিং নিয়েছেন, তাঁরা ২২ নম্বর পাবেন। কিন্তু ২০০৯-এ নিয়োগের প্যানেল তৈরির সময় প্রশিক্ষিত কিছু প্রার্থীকে ওই ২২ নম্বর দেওয়া হয়নি। চাকরিও পাননি তাঁরা। যাঁরা ওই নম্বর ও চাকরি পাননি, তাঁরাই ২০০৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলাই ধীরে ধীরে সর্বোচ্চ আদালতে যায়। সম্প্রতি তাঁদের মামলারই রায় দিয়ে‌ছে সুপ্রিম কোর্ট। পর্ষদের ওই কর্তা জানান, সর্বোচ্চ আদালত এই শিক্ষক নিয়োগে কিছু শর্তও দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ২০১০ সালের মধ্যে যে-মামলা করেছিলেন, তার প্রতিলিপি থাকতে হবে। এ ছাড়াও আরও কিছু শর্ত রয়েছে। ওই সব শর্ত যাঁরা পূরণ করতে পারবেন, প্রাথমিক স্কুলে তাঁদের চাকরি দিতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওই কর্তার মতে, ২০ জেলায় এক হাজার শিক্ষক নিয়োগ খুব বড় বিষয় নয়। কিন্তু কী ভাবে কাজটা করা যাবে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই অনিয়ম বাম আমলের। যদিও নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের দাবি, সেই সময় কোনও অনিয়ম হয়নি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘এখন এই সরকার দায়িত্বে রয়েছে। বিষয়টি দেখতে হবে তাদেরই। এই সরকার কোনও ভাবেই এর দায়দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’’

প্রশ্ন উঠছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কী ভাবে নিয়োগ করা সম্ভব? শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ভাল করে পড়তে হবে। দেখতে হবে, এই ধরনের বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা কত জন আছেন। তাঁদের নিয়োগের পরে কত অর্থ দিতে হবে। যে-সব প্রার্থী মামলা করেছিলেন, তাঁরা এখন কে কোথায় আছেন, তাঁদের কার কত বয়স— সবই খতিয়ে দেখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Teacher Recruitment Partha Chatterjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE