দুর্যোগ ও ত্রাণ ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলের মধ্যে যখন প্রবল তরজা, সেই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত চার জেলায় বিপন্ন মানুষের কাছে ভাগাভাগি করে পৌঁছে গেলেন সিপিএম এবং এসএফআই নেতৃত্ব।
উত্তরবঙ্গে বইখাতা-সহ ত্রাণ বিতরণে এসএফআই। —নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায় বন্যায় প্রাণ হারানো ও বিপর্যস্ত পরিবারের কাছে গিয়েছিলেন সিপিএমের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, অলকেশ দাস, অনন্ত রায়েরা। দার্জিলিং জেলার মিরিক, সৌরেনি, বিষ্ণুলাল গাঁও, থরবু বাগান-সহ নানা এলাকায় ত্রাণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছেছেন সমন পাঠক, অনাদি সাহু, ময়ূখ বিশ্বাস ও স্থানীয় সিপিএম নেতাদের আর একটি দল। কোচবিহারে মৃতের বাড়িতে দাঁড়িয়ে মীনাক্ষী বলেছেন, ‘‘মানুষের প্রাণের দাম জলের দরে চলে যাচ্ছে! এর দায় কে নেবে? সরকারের কোনও আগাম পরিকল্পনা নেই। মানুষ খুব অসহায়। আমরা চেষ্টা করছি যথাসাধ্য পাশে দাঁড়ানোর।’’সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের তরফে ডাক দেওয়া হয়েছিল উত্তরবঙ্গের দুর্গত মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার। এক দিনের মধ্যেই দীনেশ মজুমদার ভবনে জড়ো হয়েছিল ভাল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী। সে সব নিয়ে ট্রেনে রওনা হন দেবাঞ্জন দে, আকাশ কর, বর্ণনা মুখোপাধ্যায়-সহ এসএফআইয়ের ‘রিলিফ টিম’। পথে বর্ধমান, বোলপুর, মালদহ, ডালখোলা থেকে সেই ট্রেনে উঠেছে আরও সামগ্রী। আলাদা দলে ভাগ হয়ে চার জেলায় বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ত্রাণ বিতরণ।
এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জনের কথায়, ‘‘যে কাজ করতে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার ব্যর্থ, বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)