রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ আমূল সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার সময়ে সতর্ক এবং মানুষের পাশে সহায়তায় থাকার জন্য দলে বার্তা দিল সিপিএম। জেলায় জেলায় ভোটার তালিকা পর্যালোচনা করে তথ্য নিয়ে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হয়েছে। তারই পাশাপাশি, জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রশ্নকে নিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বরে রাজ্যে পদযাত্রায় নামারও পরিকল্পনা করছে সিপিএম।
প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না, এই দাবি সামনে রেখে কাল, বুধবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের কাছে বিক্ষোভ-জমায়েতের ডাক দিয়েছে বামেরা। তার আগে রবিবার থেকে শুরু হওয়া সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এসআইআর সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের এত বড় প্রক্রিয়ায় হাত দেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের তরফে আগে কেন সব দলের সঙ্গে আলোচনা করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলছেন সিপিএম নেতারা। সূত্রের খবর, বৈঠকে এলাকার পরিস্থিতির রিপোর্ট করতে গিয়েই একাধিক জেলার নেতারা বলেছেন, ভোটার তালিকা থেকে মৃত ও ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ গেলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অসুবিধা হবে— শুধু এমনটা ধরে নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কাগজপত্রের দোহাই দিয়ে উদ্বাস্তু, সংখ্যালঘু, পরিযায়ী-সহ বহু প্রান্তিক মানুষকে সমস্যায় ফেলতে পারে এসআইআর। তাই সতর্ক থেকেই কমিশনের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বলেছেন, এলাকায় এলাকায় দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। নভেম্বরে এলাকায় এলাকায় সহায়তা শিবিরও করতে হবে। সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে গড়ে ৬০%-এর বেশি বুথে দলীয় প্রতিনিধি (বিএলও) দেওয়ার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে সিপিএম।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেই রাজ্য কমিটির বৈঠকের আগে শনি ও রবিবার পার্টি ক্লাসে সাম্রাজ্যবাদের বিপদ, বিভাজনের রাজনীতি এবং দলের কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্তব্যের বিষয়ে আলোচনা করেছেন সিপিএমের তিন শীর্ষ নেতা প্রকাশ কারাট, সেলিম ও শ্রীদীপ ভট্টাচার্য।
অন্য দিকে, এসআইআর প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিনই ফের দাবি করেছেন, ‘‘ঠিকমতো প্রক্রিয়া হলে এক কোটির বেশি নাম বাদ যাওয়া উচিত। ১৩ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম বাদ যাবে। ১৬ লক্ষ ভোটারের নাম একাধিক জায়গায় আছে। এরা নানা জায়গার ঘুরে ভোট দেয়। তাদের নাম বাদ যাবে। আর বাদ যাবে ভুয়ো ভোটারের নাম।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)