মহম্মদ সেলিম। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকের শুরুর দিনেই রাজ্য কমিটির বিভিন্ন জেলার সদস্যেরা দলের কাছে অভিযোগ করেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে লুটের ‘নতুন কৌশল’ নিয়ে নেমেছিল শাসক দল তৃণমূল। দলীয় স্তরে তার বিস্তর প্রমাণও মিলেছে বলে দাবি ওই নেতাদের। সিপিএম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রথম দিন উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিরাই আলোচনা করেছেন। বৈঠকে হাজির থাকাদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের একাংশকে কাজে লাগিয়ে ব্যালট বাক্স বদল করা হয়েছে। তার অকাট্য প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই নেতারা।
দলীয় একটি সূত্রের দাবি, প্রমাণ দিতে গিয়ে উত্তরবঙ্গের এক নেতা আলোচনার সময় বলেন, ব্যালট বাক্স বদল হতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে সংশ্লিষ্ট বুথে ভুটানের নোট ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু স্ট্রং রুম থেকে যে ব্যালটবাক্স গণনা কেন্দ্রে এসেছিল, তাতে সে সব ছিল না। অর্থাৎ ওই চিহ্নিত ব্যালট বাক্সগুলি বুথ থেকে গণনাকেন্দ্রে আসেইনি বলে দাবি তাঁদের। সেই মর্মেই রাজ্য কমিটিতে নালিশ জানিয়েছেন নেতারা। সিপিএম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই ভাবেই কোথাও ভারতীয় মুদ্রার পাঁচ টাকার কয়েন, নির্দিষ্ট চিহ্ন আঁকা দু’হাজার টাকার নোট, জ্যামিতি বাক্সের স্কেল ফেলে রাখা হয়েছিল। সেই সব বুথের বাক্স বদল হয়েছে বলে রাজ্য কমিটিতে নালিশ জানিয়েছেন সদস্যেরা।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে শুনে তৃণমূলের এক শীর্ষ সারির নেতা বলেন, “ওরা এমনিতেই ফেল করেছে। তাই দলের কাছে পাশ করার জন্য ফেলুদা সাজার চেষ্টা করছে।”
তবে সিপিএম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার যে নেতারা আলোচনা করেছেন, তাঁরা এক বাক্যে বলেছেন বিডিও এবং সরকারি আধিকারিকদের একটি বড় অংশ শাসক দলকে মদত করেছে। তাঁদের বক্তব্য, বহু জায়গায় সশরীরে ‘ভোট ডাকাতি’ না হলেও পরে তা ‘চুরি’ গিয়েছে। দলীয় সূত্রের একটি এংশের দাবি, বেশ কয়েক জন রাজ্য কমিটির সদস্য এ-ও অভিযোগ করেন, অনেক জায়গায় স্ট্রং রুমের সিল খোলার পাঁচ-সাত ঘণ্টা পর গণনা টেবিলে বাক্স পৌঁছেছে। তাঁদের অভিযোগ, ওই সময়েই বাক্স বদল হয়েছে।
বুধবার বিকাল পর্যন্ত চলবে সিপিএমের বৈঠক। বৈঠকে থাকা একটি সূত্র জানাচ্ছেন, প্রথম দিনে মালদহের এক রাজ্য কমিটির সদস্য প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চে তৃণমূলের পাশে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির উপস্থিতি ভাল ভাবে নিচ্ছে না নিচুতলার কর্মী-সমর্থকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy