আবার পুরনো পথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। লিখিত পরীক্ষার মতো এ বার স্নাতক (অনার্স)-এর পরীক্ষার্থীদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দিতে যেতে হবে অন্য কলেজে। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ।
অনেক আগে এই ব্যবস্থাই ছিল। পরে পড়ুয়াদের নিজেদের কলেজে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের লিখিত পরীক্ষা পক্ষপাতহীন এবং স্বচ্ছ ভাবে করার জন্য পরীক্ষার্থীদের অন্য কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয়। কিন্তু অভিযোগ, নিজের কলেজেই স্নাতক স্তরের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা হওয়ায় পরীক্ষকের সঙ্গে ভাল সম্পর্কের সুবাদে অনেক পরীক্ষার্থীই যোগ্যতার থেকেও ভাল নম্বর পেয়ে যান। পরীক্ষকের বিরাগভাজন হলে ভাগ্যে আশানুরূপ নম্বর জোটে না। তাই মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। দীর্ঘদিন ধরেই কর্তৃপক্ষের কাছে
এই ধরনের অভিযোগ আসছিল।
তাই আবার পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।
তবে এর পাশাপাশি আরও একটি কারণ আছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এক কর্তার অভিমত। তিনি জানান, বিভিন্ন কলেজে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিকাঠামোই নেই। সারা বছর কোনও ভাবে জোড়াতালি দিয়ে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস চালানো হয়। পরীক্ষার সময় যথেচ্ছ নম্বর দিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। ফলে মেধার থেকে বেশি বা কম নম্বর পান পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু অন্য কলেজে পরীক্ষা হলে প্রতিটি কলেজই নিজেদের গবেষণাগারের পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে বাধ্য হবে। এবং মেধা অনুযায়ী নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, একটি কলেজেই একাধিক কলেজের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর ফলে কম খরচে পুরো পরীক্ষাটি করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘গোটা প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্যই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy