Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দলেই

প্রধান এবং উপপ্রধানকে শোকজ় করা হয়েছে বলে জানান জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ ০৫:৪৭
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

আমপান ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখাল দলেরই একাংশ। এক পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতে। প্রধান এবং উপপ্রধানকে শোকজ় করা হয়েছে বলে জানান জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কথায়, ‘‘যারা টাকা নিয়েছে, তারা জনপ্রতিনিধি, দলের কর্মী কিংবা নেতা যে-ই হোন না কেন, শোকজ় করা হচ্ছে। তদন্ত করে দুর্নীতি প্রমাণ হলে বহিষ্কার করা হচ্ছে। বিজেপি এর এক শতাংশ করে দেখাক।’’

উত্তর ২৪ পরগনায় ১৯৯টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বেশির ভাগই তৃণমূল পরিচালিত। ৪টি বিজেপির দখলে। সম্প্রতি আমপান দুর্নীতিতে জেলার বহু জায়গায় বিক্ষোভ, পথ অবরোধ চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আন্দোলনের সামনের সারিতে রয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে বুঝে তৃণমূলও পাল্টা পথে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। গাইঘাটা ও বাগদায় বিজেপি পরিচালিত দু’টি পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা।

বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, ‘‘দলের কোনও জনপ্রতিনিধি অনৈতিক ভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে থাকলে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনবিক্ষোভ বাড়ছে বুঝতে পেরে তৃণমূল এখন নাটক করছে। কিন্তু ওদের দলে তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাওয়ার জোগাড়।’’ ওই নেতার সংযোজন, ‘‘এখনও যত নেতা, জনপ্রতিনিধির নাম দুর্নীতিতে জড়িয়েছে, তাদের কত জনের বিরুদ্ধে ওরা ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই তালিকা দিক।’’

সোমবারই জ্যোতিপ্রিয় জানান, এখনও ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়েও যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, এমন ২১ জন জনপ্রতিনিধি, নেতাকে শো-কজ করা হয়েছে। আরও অনেককে শো-কজ় করার প্রক্রিয়া চলছে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি। গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতে ২৭ সদস্যের মধ্যে ১৯ জন তৃণমূলের। প্রধান সুশান্ত মিস্ত্রি, উপপ্রধান আশরাফ মোল্লা-সহ স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও প্রধান, উপপ্রধান, নেতারা পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা মামুন কবীর, নুরুল ইসলামদের। এ নিয়ে সুশান্তের বক্তব্য, ‘‘ভুল করে স্ত্রী ও ছেলের নাম তুলেছিলাম। অন্যায় বুঝে বিডিওকে বলে তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘দলের একটি গোষ্ঠীর চক্রান্তের শিকার হয়েছি।’’

Cyclone Amphan Cyclone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy