Advertisement
E-Paper

বুলবুলের রোষে কাকদ্বীপ, ঝড়ের দাপটে এলাকা তছনছ, বিদ্যুৎহীন বহু জায়গা

শনিবার সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ঝড়ের তাণ্ডব চলে গোটা এলাকায়। ১০০ থেকে ১১০ কিমি বেগে বুলবুল আছড়ে পড়ে স্থলভাগে। তার দাপটে উপড়ে যায় অসংখ্য গাছ, উড়ে যায় বাড়ির চাল, ধসে পড়ে অসংখ্য কাঁচাবাড়ি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ২০:২২
কাকদ্বীপে বুলবুলের তাণ্ডর। নিজস্ব চিত্র

কাকদ্বীপে বুলবুলের তাণ্ডর। নিজস্ব চিত্র

বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন। প্রবল ঝড়ে ডুবে গিয়েছে দু’টি ট্রলার। নিঁখোজ ন’জন মৎস্যজীবী। ঝড়ের দাপটে ভেঙে গিয়েছে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপর দু’টি জেটি। ডুবে গিয়েছে, জেটির সঙ্গে বেঁধে রাখা যাত্রিবাহী লঞ্চও।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ঝড়ের তাণ্ডব চলে গোটা এলাকায়। ১০০ থেকে ১১০ কিমি বেগে বুলবুল আছড়ে পড়ে স্থলভাগে। তার দাপটে উপড়ে যায় অসংখ্য গাছ, উড়ে যায় বাড়ির চাল, ধসে পড়ে অসংখ্য কাঁচাবাড়ি। বিদ্যুতের খুঁটি বিভিন্ন জায়গায় উপড়ে শনিবার রাত থেকেই বিদ্যুৎহীন মহকুমার বিভিন্ন এলাকা। প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। পানের বরোজ থেকে সব্জির ক্ষেত এবং ধান ক্ষেতে রবিবার সকালে দেখা যায় বুলবুলের ধ্বংসলীলা। পরিস্থিতি আকাশপথে সোমবার খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন কাকদ্বীপে।

শনিবার ডুবে যাওয়া ট্রলারের দুই ধীবরকে উদ্ধার করেন অন্যান্য মৎস্যজীবীরা। এখনও নিঁখোজ আট জন। রবিবার নদীতে দেহ পাওয়া যায় সঞ্জয় দাস নামে ৪০ বছরের এক মৎস্যজীবীর। তিনি কাকদ্বীপ স্টিমারঘাট এলাকার বাসিন্দা। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে নামখানার মৌসুনিদ্বীপ এলাকায়।

বুলবুলের দাপটে তছনছ হাওয়াকল। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার দাবি থেকে সরল বিজেপি, যে কোনও মূল্যে মুখ্যমন্ত্রীপদ চায় সেনা

কাকদ্বীপ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সাগর,নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমাতেও অসংখ্য গাছ ভেঙে গিয়েছে বা শিকড় থেকে উপড়ে পড়েছে। উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। শনিবার রাতের কয়েক ঘন্টা জুড়ে বুলবুলের তান্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে এখানকার জনজীবন। রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে মানুষ ভাঙা গাছ সরানোর কাজে হাত লাগায়। ভাঙা বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বার করতে থাকে। অনেক এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বা সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পড়ে যাওয়া গাছ সরানোর কাজে হাত লাগান। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে কাকদ্বীপ শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ধান, পান-‌সহ সবজির। বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে বুলবুলের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু মাস সময় লাগবে এখানকার বাসিন্দাদের।

খোলা আকাশের নীচে আশ্রয়। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুন: রাজ্যে বুলবুলের তাণ্ডবে মৃত ৬, ত্রাণশিবিরে লক্ষাধিক মানুষ, সোমবার আকাশপথে ঘুরে দেখবেন মমতা

শনিবার বিকেল থেকে মুষলধারায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের দাপট বাড়তে থাকে। সন্ধে গড়িয়ে যাওয়ার পর ঝড় প্রবল আকার ধারণ করে। আটটা নাগাদ বুলবুল সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়ে। পাশাপাশি ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ এলাকায় আছড়ে পড়ে। ঝড়ের গতিবেগ ১০০কিমির বেশী ছিল। রাত ১০টা নাগাদ ঝড়ের গতিবেগ কিছুটা কমে যায়। পরে আবার প্রবল আকার ধারণ করে। গভীর রাত পর্যন্ত ঝড়ের দাপট ছিল। ভোর রাত থেকে ঝড় ও বৃষ্টি বন্ধ হয়। রবিবার সকালে আকাশ মেঘলা ছিল।

Cyclone Bulbul ঘূর্ণিঝড় বুলবুল Kakdwip Cyclone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy