অষ্টমীর রাতে বাঁকুড়া জেলার ওন্দার রামসাগরের সিংহাটিতে ভাড়া বাড়ির দরজা ভেঙে এক পুরুষ ও এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।কিন্তু সেই ঘটনার পরে তিন দিন কেটে গেলেও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না।
ওন্দা থানার পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন রূপালি গোস্বামী (২৯) এবং রাজেশ গোস্বামী (৩৫)। তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার বাগমারিরবাসিন্দা। প্রায় এক মাস আগে রূপালি এবং রাজেশ সিংহাটিতেস্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেন। রাজেশ একটি সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন।
যদিও বজবজ থানা সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তির বাড়ি বজবজের নিশ্চিন্তপুর পঞ্চায়েতের বাগমারিতে হলেও তাঁর আসল নাম রাজেশ মীর। সেখানে তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মা রয়েছেন।বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসতেন রাজেশ। কিন্তু কী কারণে তিনি অন্য পরিচয়ে ওন্দায় থাকছিলেন, জানাতে পারেনি পরিবার।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে রূপালির আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।সেখানে স্বামী হিসাবে রাজেশের নাম লেখা রয়েছে। বাঁকুড়ার এক পুলিশকর্তা বলেন, “ওই আধার কার্ডটি ঠিক কিনা, তা যাচাই করা হচ্ছে। মৃতদের পরিবারের লোকজনকে শীঘ্রই থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
ওন্দার সিংহাটির বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার রাতে ওইবাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে তাঁরাথানায় খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরেঢোকে। সিলিং ফ্যান থেকে গলায়ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় রাজেশ ও রূপালির ঝুলন্ত দেহ। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, পারিবারিক সমস্যার কারণে ওই যুগল আত্মহত্যা করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)