E-Paper

বিধানসভায় পাশ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত যথাসময়ে, বললেন রাজ্যপাল

এ দিন রাজ্যপাল আসার আগেই বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য হিসেবে নিয়োগের দাবিতে পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫৩
CV Anand Bose.

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ফাইল চিত্র।

বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল অনির্দিষ্টকাল ফেলে রাখতে পারেন না রাজ্যপাল— এই মর্মে সম্প্রতি তেলঙ্গানা রাজ্যের একটি মামলায় নির্দেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন, এ রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য হিসাবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি দীর্ঘদিন ধরে রাজভবনে আটকে আছে। সেটি ছাড়ার ব্যাপারে রাজ্যপালকে বার্তা দেন তিনি। এই নিয়ে শুক্রবার প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানান, বিষয়টি নিয়ে যথাসময়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ দিন দুপুরে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রাজ্যপাল। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি খোঁজ নেন। নিজের লেখা বই ‘সাইলেন্ট সাউন্ডস গুড’ তুলে দেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের হাতে। উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এ বিষয়ে নিয়ম মেনে সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া হবে।’’

বিলটি নিয়ে এ দিনও ঝাড়গ্রামে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘তেলঙ্গানা রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। রাজ্যপালের ভূমিকা আলাদা, আচার্যের ভূমিকা আলাদা। রাজ্যপালের স্বাধীনতা আছে, তবে আচার্যের আইনটি বাধা। আমি চাইছি উনি (রাজ্যপাল) বিলে সই করুন। না হলে বিলটা ফেরত পাঠান।’’

এ দিন রাজ্যপাল আসার আগেই বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য হিসেবে নিয়োগের দাবিতে পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। সেখানে হাজির তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুণ্ডুর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীকেই আমরা আচার্য হিসেবে চাই। আমাদের দাবি, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ওই বিল রাজ্যপাল দ্রুত অনুমোদন করুন। পাশাপাশি নয়া শিক্ষানীতি চালুর পক্ষেও আমরা নই।’’ রাজ্যপাল অবশ্য বলেন, ‘‘নয়া শিক্ষাক্রম রাজ্য সরকারও চালু করছে। আমি নিজেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছি। বিষয়টি শিক্ষকমহলের মধ্যস্থতায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার বিবেচনা করবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CV Ananda Bose West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy