হত্যাকাণ্ডের পরের দিন পুলিশের একটি দল দিল্লি রওনা দেয়। খুনের পর যে ট্যাক্সিতে চেপে অভিযুক্ত ভিক্টোরিয়ার সাউথ গেটে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে হাওড়া গিয়েছিলেন সেই ট্যাক্সির চালককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
ভবানীপুরের লি রোডে খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে চলল। এখনও অধরা অভিযুক্ত। পুলিশ মনে করছে মূল অপরাধী বিমল ওরফে শিবম ওড়িশাতে রয়েছেন। কটক, ভূবনেশ্বর-সহ একাধিক শহরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ‘লুক আউট’ নোটিসও জারি করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত দিল্লির বাসিন্দা।
হত্যাকাণ্ডের পরের দিন পুলিশের একটি দল দিল্লি রওনা দেয়। খুনের পর যে ট্যাক্সিতে চেপে অভিযুক্ত ভিক্টোরিয়ার সাউথ গেটে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে হাওড়া গিয়েছিলেন সেই ট্যাক্সির চালককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। চালকের বয়ান অনুযায়ী রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ধরার জন্য হাওড়ায় নামেন অভিযুক্ত। ওই সময় পুরী যাওয়ার ট্রেন হাওড়া স্টেশন ছাড়ে।
পূলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তের উপস্থিতির ছাপ মিলেছে। তদন্তের প্রয়োজনে ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মাঝরাতে ভবানীপুরের এক অতিথিশালা থেকে স্বর্ণব্যবসায়ী শান্তিলাল বেদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই অতিথিশালায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক যুবক। তিনি শান্তিলালকে ‘আঙ্কল’ বলে অতিথিশালায় পরিচয় দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় লি রোডের বাড়ি থেকে পান খেতে বেরনোর পর আর বাড়ি ফেরেননি শান্তিলাল। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মুক্তিপণ চেয়ে তাঁর বাড়িতে ফোন আসে। পরে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের এক অতিথিশালা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy