Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শত্রু মোকাবিলায় নয়া ‘যোদ্ধা’র মহড়া সালুয়ায়

২০০৬ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝিটকার জঙ্গলে ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ঘটেছিল ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয়েছিল দুই পুলিশ কর্মীর। গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক চিত্র সাংবাদিক। সে ঘটনার স্মৃতি আজও দগদগে।

গুলি চালাতেও সক্ষম এই যন্ত্র মানব। —নিজস্ব চিত্র।

গুলি চালাতেও সক্ষম এই যন্ত্র মানব। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:৫২
Share: Save:

২০০৬ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝিটকার জঙ্গলে ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ঘটেছিল ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয়েছিল দুই পুলিশ কর্মীর। গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক চিত্র সাংবাদিক। সে ঘটনার স্মৃতি আজও দগদগে।

বোমা নিষ্ক্রিয় করা হোক বা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে গুলির লড়াই, প্রাণহানির আশঙ্কা থাকেই। ইতিমধ্যে এই প্রাণহানি রুখতে অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরি করেছে একটি সংস্থা। এ বার সেই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা রোবট কিনতে চলেছে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার খড়্গপুরের সালুয়ায় ইএফআর শ্যুটিং রেঞ্জে হয়ে গেল সেই যন্ত্রটির মহড়া। যন্ত্রটি সেটি কী ভাবে কাজ করে তা পরীক্ষা করে নিতেই ছিল মহড়া।

প্রস্তুতকারক সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই যন্ত্রটির পোশাকি নাম এক্সপ্লোসিভ অর্ডিন্যান্স ডিসপোসাল রিমোট অপারেটিং ভেইকেল। দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-সহ একাধিক রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে এই যন্ত্র। এই রাজ্যের সিআইডি-র হাতেও এ ধরনের একটি যন্ত্র রয়েছে। এ দিন সেই যন্ত্রটিকেও মহড়ায় নামানো হয়েছিল।

তবে সিআইডি হাতে থাকা যন্ত্রটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে পারলেও শত্রু নিধন বা গুলি চালাতে পারে না। অত্যাধুনিক এই যন্ত্র-মানব একহাতে যেমন গুলি চালাতে সক্ষম সমানভাবে বোমা নিষ্ক্রিয় করতেও পারদর্শী। এমনকী কোনও বিস্ফোরণ ঘটে গেলে তড়িঘড়ি আগুন নেভানো যাবে এই যন্ত্রটি দিয়েই। আর এই সব কিছু সম্ভব হবে দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এই যন্ত্রটিকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এমনকী একাধিক ক্যামেরা বিশিষ্ট এই যন্ত্রটিতে ‘নাইট ভিসন’-এর সুবিধা রয়েছে। ফলে রাতের অন্ধকারেও অনায়াসে যন্ত্রটিকে কাজে নামানো যাবে বলে প্রস্তুতকারী
সংস্থার দাবি।

রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি-র ডিআইজি(অপারেশন) দিলীপ আদক ও ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিশাল গর্গের উপস্থিতিতে হয়েছে এই মহড়া। প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে যন্ত্র মানব কী ভাবে একই সঙ্গে একাধিক সামরিক কাজ করতে পারে তার খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়। শ্যুটিং রেঞ্জে বোমা, শত্রুপক্ষের মডেল রেখে যন্ত্রটির কাজ তুলে ধরা হয়।

রোবটটি হাতে এলে নানা জটিল ‘অপারেশনে’ সাফল্য আসবে বলে সিআইডি কর্তারা মনে করছেন। এ দিন সিআইডি ডিআইজি (অপারেশন) দিলীপ আদক বলেন, “আমাদের কাছে বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্র রয়েছে। আমরা আরও কিছু অত্যাধুনিক যন্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই এই যন্ত্রটির কাজ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE