যুব মোর্চার পদাধিকারী বেছে নেওয়ার পথে আবার ধাক্কা খেলেন সৌমিত্র খাঁ। পাঁচটি সাংগঠনিক জোনের পর্যবেক্ষক হিসেবে যাঁদের নিয়োগ করেছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র, আপাতত তাঁদের নামে সিলমোহর দিলেন না রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যুব সংগঠনে জোনগুলির দায়িত্ব কারা পাচ্ছেন, তা ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্থির করা হবে বলে দিলীপ জানিয়ে দিয়েছেন সৌমিত্রকে। তবে কলকাতা জোনের দায়িত্ব আপাতত যুব মোর্চার সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডাকে দিয়ে দিয়েছেন দিলীপ।
জেলা সভাপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে দিলীপ এবং সৌমিত্রর দ্বন্দ্বে কিছু দিন আগেই শিরোনামে এসেছিল বিজেপি-র যুব সংগঠন। বেশ কয়েকটি জেলায় সৌমিত্রর নিয়োগ করা সভাপতিদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করে অথবা তাঁদের মতামত কোথাও কোথাও অগ্রাহ্য করে সৌমিত্র ওই সব নিয়োগ করেছিলেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল। দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তা নিয়ে যুব মোর্চার সভাপতির টানাপড়েন তৈরি হয়। বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, সৌমিত্রর তৈরি করা সব জেলা কমিটি ভেঙে দেন দিলীপ।
দলের রাজ্য সভাপতির এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে সৌমিত্র তখন জানিয়েছিলেন, তিনি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে সৌমিত্র বেরিয়েও গিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সৌমিত্র আবার ফিরে যান। দিলীপের সঙ্গে তিনি যে সঙ্ঘাতে যেতে চান না, সেই বার্তাও দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তত ক্ষণে বিতর্ক যা তৈরি হওয়ার, হয়ে গিয়েছে। দিলীপের কর্তৃত্ব অস্বীকার করে সৌমিত্র যে নিজের খেয়াল খুশি মতো যুব মোর্চাকে চালাতে পারবেন না, তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।