পাহাড়ের পরে সমতল। এ বার উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া বাজারে আক্রান্ত হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলীয় সভা সেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেরার সময়ে হামলাকারীদের ছোড়া ইট দিলীপবাবুর পায়ে লাগে। বিজেপি-র অন্য কর্মীরাও ইটের ঘায়ে আহত হন। দিলীপবাবুর অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহের দিকে। অর্জুন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছেন, গোলমাল বিজেপি-রই গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ফল।
মুকুল রায়ের খাস তালুকের কাছাকাছি কাঁকিনাড়া বাজারে দিলীপবাবুর ওই সভা ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের বাধায় তাদের কর্মীরা সভামঞ্চ গড়তেই পারেননি। কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। দলেরই এক কর্মীর চায়ের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দুপুরের ওই গণ্ডগোলের পরে রাজ্য বিজেপি-র কয়েক জন নেতা ঘটনাস্থলে গিয়ে সভা বাতিল করার কথা ভাবেন। কিন্তু মূলত দিলীপবাবু এবং স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের চাপেই শেষ পর্যন্ত সভা হয়। তবে ম্যাটাডোরের উপরে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়েই বক্তৃতা করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।
বক্তৃতায় দুপুরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমাদের ভয় পাচ্ছে বলেই শাসক দল আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা করেছে। কিন্তু মনে রাখা উচিত, দেশের ১৮টা রাজ্যে বিজেপি-র সরকার চলে। এই রাজ্যেও বিজেপি-র সরকার আসতে চলেছে।’’ দিলীপবাবুর পাল্টা হুমকি, ‘‘আমরা শান্তির পক্ষে। কিন্তু আমাদের মারধর করলে আমরাও পাল্টা হাত ভেঙে নিতে পারি!’’ বক্তৃতা সেরে গাড়িতে ওঠার জন্য দিলীপবাবু যখন হাঁটছিলেন, সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে তাড়া করে বলে অভিযোগ। দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘আমাকে এবং আমার দলের কর্মীদের তৃণমূলের লোকেরা তাড়া করে, ইট ছোড়ে। আমার নিরাপত্তারক্ষী আমাদের বাঁচাতে অস্ত্র বার করলে ওরা থেমে যায়। তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহের অঙ্গুলি হেলনেই দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি সব ক’টা গোলমাল হয়েছে।’’
অর্জুনের অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘‘গোটাটাই সাজানো ঘটনা! বিজেপি-র গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ফলে ওই কাণ্ড হয়েছে। এর আগেও কাঁকিনাড়ায় এমনটা দেখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy