সাংবাদিক বৈঠকে সৌগত রায়। নিজস্ব চিত্র।
রাজনীতিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা উচিত নয়। যুব তৃণমূলের সভাপতি এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার অপমান করছে বিজেপি। বুধবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুললেন সৌগত রায়।
মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষে শ্যামবাজার থেকে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত একটি মিছিল করেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি-র মিছিলের পর গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত আর একটি মিছিল করে তৃণমূলও। মিছিল শেষে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূলের মিছিল বিজেপি-র ১০ গুণ ছিল। আজ আমরা যে উচ্ছ্বাস দেখালাম, তাতে ১০-০ গোল দিলাম ওদের মিছিলকে।’’ অভিষেকের ওই মন্তব্যের পর বুধবার সকালে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অভিষেকের অভিজ্ঞতা কম। অনেক বার অনেক কিছু বলেছেন। পরে তার সব উল্টো হয়।’’ এরপরই অভিষেক কোলে চড়ে রাজনীতি করছেন বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেককে রাজনীতি একটু শিখতে হবে। কোলে চড়ে রাজনীতি করা যায় না। তার জন্য মাটিতে নামতে হয়।’’
দিলীপের ওই মন্তব্যের পর অভিষেকের সঙ্গে তাঁর তুলনা টেনে পাল্টা আক্রমণ করেন সৌগত। তিনি বলেন, ‘‘দিলীপের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তো আরও কম। বিজেপি সভাপতি হওয়ার আগে উনি তো কোনওদিন রাজনীতিই করেননি। একটি পুরসভা ভোটেও দাঁড়াননি। অভিষেক তো ২০১৪ সালে লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন। তার আগে যুব সংগঠন দেখতেন। আর সাংসদ হিসেবেও অভিষেক ওঁর থেকে পুরনো।’’ বিজেপি নেতারা অভিষেককে অপমান করছেন বলে সরব হন সৌগত। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার অপমান করা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি নেতাদের। ব্যক্তিগত আক্রমণ রাজনীতিতে হওয়া উচিত নয়। ওরা ভাবছে যে অভিষেককে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা যাবে। কিন্তু তা ভুল, মানুষ এই ধরনের মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করবে।’’
আরও পড়ুন: নবীন-প্রবীণদের মত নিয়ে ভোটের ইস্তাহার তৈরির কাজ শুরু করেছেন মমতা
একইসঙ্গে সৌগত জানান, অভিষেক তো দাবি করেননি যে উনি পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ। উনি তো বরাবরই বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ব্যক্তিগত স্তরে গিয়ে অভিষেককে কেন বার বার আক্রমণ করছেন দিলীপ ঘোষরা সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘অভিষেকের প্রতি এত উষ্মা কেন দিলীপ ঘোষের? ওঁর তুলনায় অভিষেকের গ্রহণযোগ্যতা বেশি বলে?’’
আরও পড়ুন: আপাতত দল বড় করে পরে ছাঁকনি, নীলবাড়ির লক্ষ্যে এখন দিলীপ-নীতি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy