Advertisement
E-Paper

শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রশাসনের

শনিবার রাতেই জেলাশাসকের নির্দেশে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০২:০০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে আসা শ্রমিকদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। রবিবার রাত পর্যন্ত শ্রমিকদের নিয়ে কোনও বাস বা ট্রেন ঝাড়খণ্ড থেকে আসেনি। কেবল মুরারইয়ের দুলান্দি সীমানায় আট জন শ্রমিককে পৌঁছে দেয় ঝাড়খণ্ড প্রশাসন।

শনিবার রাতেই জেলাশাসকের নির্দেশে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক। বৈঠকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকরা-সহ রামপুরহাট ১ ও রামপুরহাট ২ ব্লকের বিএমওএইচরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও রামপুরহাট থানার আইসি-ও।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ঝাড়খণ্ড থেকে বিশেষ ট্রেনে শ্রমিকদের রামপুরহাট স্টেশনে আনা হবে। সেখান থেকে বাসে করে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে পাঠানো হবে। বাসে করেও ঝাড়খণ্ড থেকে শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা করা হয়েছ। সে জন্য বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার সুরুচুয়া সীমানা এবং মুরারই থানার দুলান্দি সীমানায় চিকিৎসকদের একটি দল, প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়েছে। রামপুরহাট স্টেশনেও চিকিৎসকদের একটি দল-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ৮টা থেকেই চিকিৎসকদের দল এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা রামপুরহাট স্টেশনে ও বীরভূম সীমানার দুই জায়গায় ডিউটি শুরু করেছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে ট্রেন ও বাস মিলিয়ে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার শ্রমিকের আসার কথা। প্রত্যেক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ও তাঁদের কাছ তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ছয় থেকে সাত সদস্যের চিকিৎসক দলের সঙ্গে তিন চারজন প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। রামপুরহাট স্টেশনে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামপুরহাট ২ ব্লকের বিএমওএইচ-সহ ব্লকের স্কুল হেলথ এর সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা আছেন। শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মহকুমা প্রশাসনিক দফতরের আধিকারিরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া রামপুরহাটের মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং রামপুরহাট থানার আইসি-রও উপস্থিত থাকার কথা। অন্যদিকে রামপুরহাট থানার সুরুচুয়া এবং মুরারই থানার দুলান্দি সীমানায় সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিএমওএইচ ও বিডিওদের উপস্থিত থাকার কথা। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শ্রমিকদের ফেরার জন্য তিন জায়গায় মেডিক্যাল অফিসারদের দল গড়া হয়েছে। আরও তিনটি দল করা হয়েছে যাঁরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবেন।’’

এ দিন আট জন পরিযায়ী শ্রমিককে ঝাড়খণ্ড সরকার মুরারই থানার দুলান্দি সীমানায় প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে মুরারই ব্লকে নিয়ে আসা হয়। শ্রমিকদের খাওয়ানোর পরে দ্বিতীয় দফায় মুরারই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। তার পরে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সকলকে ১৪ দিনের গৃহ-নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে। ওই আট জন শ্রমিকেরই বাড়ি মুরারইয়ের নানা এলাকায়। বিহারগামী বাসে তাঁদের মহেশপুরে ও পরে ছোট গাড়িতে মুরারইয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুরারই ১ বিডিও নিশীথভাস্কর পাল বলেন, ‘‘সীমানায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা আছেন। যে সমস্ত শ্রমিকরা আসছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে বাড়ি রেখে আসা হচ্ছে।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসক দল থার্মাল গান সহ মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করবেন। তার জোগানও স্বাস্থ্য দফতর থেকে করা হয়েছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে তাঁদের মধ্যে কারও জ্বর, সর্দি-কাশি, হাঁচি বা অন্য অসুস্থতা ধরা পড়লে তাঁদেরকে সরকারি নিভৃতবাসে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হবে।

Coronavirus in West Bengal Migrant Labourer Rampurhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy