E-Paper

ভোট-প্রস্তুতির আগে কমিটি নিয়ে দুই প্রস্তাব

আগামী বিধানসভা ভোটের আগে দলের অন্দরে প্রস্তাবিত রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই নির্বাচনের ভোটার তালিকা-সহ একাধিক বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করতে এ দিন জেলার কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৮

— প্রতীকী চিত্র।

রদবদলের চর্চার মধ্যেই জেলা সংগঠন পরিচালনা নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। দলের কোর কমিটির বৈঠকে সোমবার তৃণমূলের একাংশ পুরনো ব্যবস্থা অর্থাৎ এক কমিটির অধীনে গোটা জেলার দলীয় সংগঠনকে আনতে চেয়েছে। অন্য অংশ অবশ্য এখনকার ব্যবস্থা অর্থাৎ লোকসভা কেন্দ্রভিত্তিক কমিটিই রেখে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। এই দু’টি প্রস্তাব উল্লেখ করেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন জেলা নেতৃত্ব।

আগামী বিধানসভা ভোটের আগে দলের অন্দরে প্রস্তাবিত রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই নির্বাচনের ভোটার তালিকা-সহ একাধিক বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করতে এ দিন জেলার কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানেই জেলা দলের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। দলের একাংশ পুরনো ব্যবস্থায় ফিরতে চেয়েছে। তারা চাইছে, জেলার ৩৩টি বিধানসভা আসনের জন্য একটি কমিটিই তৈরি করা হোক। এবং সভাপতি ও অন্যান্য পদাধিকারী নিয়োগ করে নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গড়ে দেওয়া হোক। তাতে নির্বাচন পরিচালনা সহজ হবে।

গত লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্যের একাধিক জেলায় লোকসভা কেন্দ্রিক সাংগঠনিক কমিটি চালু করেছিল তৃণমূল। সেই ব্যবস্থায় উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচটি লোকসভা আসনে পাঁচ কমিটি কাজ শুরু করে। তবে প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায় দল ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে ব্যারাকপুরের কমিটি সভাপতি-শূন্য। এ ছাড়া বাকি চারটি কমিটি এখনও পর্যন্ত অসম্পূর্ণ। এই অবস্থায় এ দিনের আলোচনায় নেতাদের বড় অংশ অবশ্য এই ব্যবস্থার পক্ষেই মত দিয়েছেন। তাঁরা চাইছেন, পাঁচটি সংসদীয় আসনে পাঁচটি সাংগঠনিক কমিটিই থাক। তবে সেগুলি পূর্ণাঙ্গ আকারে তৈরি করে দেওয়া হোক।

এই জোড়া প্রস্তাবেই স্পষ্ট, ভোটের আগে দল পরিচালনা নিয়ে নেতৃত্ব স্তরে মতপার্থক্য রয়েছে। তা দূর করতেই শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। কোর কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ অবশ্য মতপার্থক্যের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ‘‘জেলায় তৃণমূলের জনসমর্থন নিরঙ্কুশ। আসন্ন ভোটে তা ধরে রাখতে একাধিক মত থাকতেই পারে। কী ভাবে সেই কাজ হবে, তা সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC North 24 Parganas

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy