Advertisement
E-Paper

বকেয়া বেড়ে ১০ কোটি, হয়নি আদায়

ডিএসপি কর্তৃপক্ষ জানান, বকেয়া বাড়তে বাড়তে এখন ১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ডিএসপি সূত্রে যায়, বকেয়া উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটছে কর্তৃপক্ষের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪১
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

‘লিজ’ বাবদ বকেয়া রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। কিন্তু দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) সেই বকেয়া আদায়ে কোনও কঠিন পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরে।

বহু বছর আগে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ টাউনশিপে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, রাজনৈতিক সংগঠন, ধর্মীয় সংগঠন-সহ অন্য সংস্থাকে জমি বা আবাসন ‘লিজ’ বা ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দিয়েছিলেন। তা ব্যবহার করছে সংস্থাগুলি। এর মধ্যে অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, ডিএসপি-কে সময়ে লিজ বা লাইসেন্স বাবদ ‘ফি’ জমা দেয়নি সংস্থাগুলি।

সম্প্রতি টাউনশিপের বি-জোনের কালীদাস রোডের বাসিন্দা সমাজকর্মী সন্দীপকুমার চক্রবর্তী তথ্য জানার অধিকার আইনে বকেয়া নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। উত্তরে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ জানান, বকেয়া বাড়তে বাড়তে এখন ১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ডিএসপি সূত্রে যায়, বকেয়া উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটছে কর্তৃপক্ষের। তবে ডিএসপি-র তরফে সংস্থাগুলিকে শুধু মাঝেসাঝে বকেয়া মনে করিয়ে দিয়ে চিঠি পাঠানো ছাড়া কোনও কঠিন পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সন্দীপবাবু বলেন, ‘‘ডিএসপি-র প্রাক্তন শ্রমিক, কর্মীদের ক্ষেত্রে বকেয়া বা অন্য বিষয়ে সামান্য এ দিক-ও দিক হলে কড়া মনোভাব নেন কর্তৃপক্ষ। অথচ সংস্থাগুলির কাছে কোটি কোটি টাকা বকেয়া আদায়ে উদ্যোগী নয় ডিএসপি’’

ডিএসপি জানিয়েছে, টাউনশিপের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসার জন্য ১৮৩৩টি স্টল তৈরি করে ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছিল। রমরম করে ব্যবসা চলছে। তবে ব্যবসায়ীরা অনেকেই ভাড়া মেটাননি বলে অভিযোগ। মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে, প্রায় ১০ কোটি টাকা। পার্ক, হোটেলের কাছে ডিএসপি-র বকেয়ার পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা। কুমারমঙ্গলম পার্ক চালায় একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থার কাছে ডিএসপি পাবে প্রায় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। দুর্গাপুর হাউসের অ্যানেক্স হোটেলের কাছে বকেয়া রয়েছে প্রায় সাড়ে ৭৬ লক্ষ টাকা।

বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে ডিএসপির প্রাপ্য বাকি প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা। এমন সংস্থার সংখ্যা ১৯টি। এর মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। এই সংস্থাগুলিকে জমি ও ২০৪টি আবাসন ব্যবহারের লাইসেন্স দিয়েছে ডিএসপি। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের কাছে বকেয়া রয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ লক্ষ টাকা। মোট ২৩টি আবাসন ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ওই সমস্ত শ্রমিক সংগঠনগুলিকে। ডিএসপি-র দাবি, সবথেকে বেশি ৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ভাড়া বকেয়া রয়েছে এআইটিইউসি অনুমোদিত দুর্গাপুর স্টিল শ্রমিক ইউনিয়নের। আইএনটিইউসি অনুমোদিত হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা, সিটু অনুমোদিত হিন্দুস্থান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা ও আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ডিএসপি মজদুর ইউনিয়নের কাছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া স্টিল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা, ঠিকাদার মজদুর কংগ্রেসের কাছে ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা ও অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে আরও প্রায় ১ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে।

বকেয়ার তালিকায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অধিকাংশই নামী ইংরেজিমাধ্যম স্কুল। মোট বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ১৬ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া কয়েকটি স্থানীয় সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা।

বিষয়টি নিয়ে ডিএসপি-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক চিন্ময় সমাজদার অবশ্য বলেন, ‘‘বকেয়া আদায়ের জন্য সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ করবে ডিএসপি।’’

DSP Lease Money NGO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy