ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরে ৯ শরিক থেকে বে়ড়ে ১১ হয়েছিল বামফ্রন্ট। আবার তারা ফিরে গেল ৯ শরিকেই! সর্বভারতীয় কোনও দলের সঙ্গে মিশে যেতে চেয়ে বামফ্রন্ট ছা়ড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট পার্টি (ডিএসপি)। তাদের সিদ্ধান্তের কথা রবিবারই চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে।
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের পরে যারা ফ্রন্ট ছাড়েনি, তারা এখন এমন সিদ্ধান্ত নিল কেন? ডিএসপি-র রাজ্য সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী প্রবোধ সিংহের মতে, এটা ‘বন্ধুত্বপূর্ণ বিচ্ছেদ’। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য স্তরে আমাদের সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল। ফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে আগেই জানিয়েছিলাম, আমরা সর্বভারতীয় সমমনোভাবাপন্ন কোনও দলের সঙ্গে মিশে যেতে চাই। রাজ্য কমিটির বৈঠকে এ বার সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ কোন দলের সঙ্গে মিশবেন? প্রবোধবাবু বলেন, ‘‘সমাজবাদী কোনও দল বা মঞ্চের সঙ্গেই যুক্ত হবো।’’ প্রবোধবাবু কোনও দলের নাম না করলেও ফ্রন্ট সূত্রের খবর, নীতীশ কুমারের জে়ডিইউ-এর সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে।
গত বছর বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে লক্ষ্মণ শেঠের দলের সঙ্গে সমঝোতা করায় ফ্রন্ট সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল এসপি-র সঙ্গে। এ বার ডিএসপি-ও বেরিয়ে যাওয়ায় ফ্রন্টে আরও কোনও প্রথাগত সমাজবাদী শরিক রইল না। সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘‘যত দূর জানি, ওঁরা (প্রবোধবাবুরা) যাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন, তারা সমাজবাদী শক্তি নয়। তারা এখন দক্ষিণপন্থী। কেউ যেতে চাইলে জোর করে তো রাখা যায় না!’’
কলকাতায় এ দিন আনন্দ পালিত রোডে ডিএসপি-র রাজ্য দফতরে রাজ্য কমিটির বৈঠকেই ফ্রন্টের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের সংগঠন সম্পাদক নজরুল ইসলামের কথায় স্পষ্ট যে, ফ্রন্ট ছাড়ার আরও কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্যসভার টিকিট নিয়ে সীতারাম ইয়েচুরি কাণ্ডে ডিএসপি ক্ষুব্ধ। বহু দিন ডিএসপি-র দাবি ফ্রন্টে গুরুত্ব পেতো না। সিপিএমের দলীয় লাইনই বামফ্রন্টের লাইন হয়ে গিয়েছিল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy