সি পি আই ( এম -এল) লিবারেশনের প্রতিবাদ। মৌলালিতে। — নিজস্ব চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। সর্বো্চ আদালতে দায়ের করা আবেদনপত্রে ডিওয়াইএফআই উল্লেখ করেছে, উদ্বাস্তুদের ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে তা ভারতের সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতার চরিত্রের মৌলিক নীতির পরিপন্থী হবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ প্রথম বারের জন্য উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার শর্ত হিসেবে ধর্মকে মাপকাঠি করা হয়েছে। বৈষম্যমূলক এই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘যে দেশের মানুষ রুটি-রুজির দাবিতে লড়াই করছে, সে দেশের সরকার যদি মনে করে তারা নজর ঘুরিয়ে দেবে, তা হলে ভুল ভাবছে। এর বিরুদ্ধে ডিওয়াইএফআই লড়াই করবে। আদালতে যেমন লড়াই হবে, তেমন ভাবে রাস্তাতেও লড়াই চলবে।’’
সিএএ কার্যকর হওয়ার পরেই মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিবাদ। বনগাঁ শহরে মিছিল করেছে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। বনগাঁ স্টেশন থেকে মতিগঞ্জ হয়ে টাউন হল মাঠ পর্যন্ত মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, দলের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি হরিপদ বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক কমলাক্ষী বিশ্বাস প্রমুখ। নাগরিকত্ব বিচারে জাত-ধর্মের কথা কেন আসবে, সেই প্রশ্ন তোলেন নেতৃত্ব। একই বিষয়কে সামনে রেখে এ দিন মৌলালি মোড়ে বিক্ষোভ-সভা করেছে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন। সভায় বক্তৃা ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির নেতা বাসুদেব বসু, কলকাতা জেলা সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী, দিবাকর ভট্টাচার্য প্রমুখ। লিবারেশনের সভা থেকে দিল্লিতে সংখ্যালঘুদের উপরে পুলিশের ‘অত্যাচারের’ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, এ দিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ ক্যাম্পাসের ভিতরে এবং বাইরে বিক্ষোভ দেখান। ক্যাম্পাসের ভিতরে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকেও এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। 'নো এনআরসি মুভমেন্ট' ব্যানারে মিছিল হয়েছে মৌলালি থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত। সিএএ কার্যকর করার বিরোধিতায় যাদবপুর এইটবি বাস স্ট্যান্ডের কাছেও বিক্ষোভ-সভা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy