শিয়ালদহ স্টেশন। — ফাইল চিত্র।
স্টেশনের শৌচাগার ব্যবহার করে টাকা দেওয়ার জন্য অনেকেই ‘খুচরো’ সমস্যায় পড়েন। প্রস্রাব করতে টাকা না-লাগলেও মলত্যাগ এবং স্নানাগার ব্যবহারের জন্য স্টেশনের শৌচাগার ব্যবহারে গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তিন টাকা, পাঁচ টাকা বা ১০ টাকা খুচরো থাকে না যাত্রীদের কাছে। এ বার সেই সমস্যা মেটাতেই স্টেশনের ‘পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট’-এর বাইরে থাকবে কিইউআর কোড। অনলাইনেই যাত্রীরা টাকা দিতে পারবেন রেলকে!
শিয়ালদহ বিভাগের সব স্টেশনেই নতুন এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে পূর্ব রেল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক নিগমের নির্দেশেই কিইউআর কোড ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে এই উদ্যোগ। দেশ জুড়ে ‘অনলাইন মেমেন্ট’ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার অংশ হিসাবেই স্টেশনের ‘পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট’-এ কিইউআর কোড চালু করার সিদ্ধান্ত।
স্টেশনের শৌচাগার ব্যবহারের পর খুচরো টাকা দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারে অনেক যাত্রীর মধ্যেই ‘ছুঁতমার্গ’ রয়েছে। আবার পকেটে খুচরো না থাকায় সমস্যায় পড়েন অনেক যাত্রী। এই সব কিছু মাথায় রেখেই স্টেশনের শৌচাগারে কিইউআর কোড স্ক্যানার বসছে। রেলের তরফে বলা হয়েছে, যাত্রীরা শৌচাগারে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন কিইউআর কোড স্ক্যানার। সেই কিইউআর কোড স্ক্যান করে যাত্রীরা টাকা দিতে পারবেন।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘পেমেন্ট’ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতেই এই উদ্যোগ। যাত্রী নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বজায় রেখেই এই ব্যবস্থা চলবে। শুধু তা-ই নয়, যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ ওঠে, তা এই ব্যবস্থা চালু হলে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে রেল।
অতীতে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য কিইউআর কোড ব্যবস্থা চালু করেছিল রেল। মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটের কিউআর কোড রিডার দিয়ে সহজে ও নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। স্টেশনে রাখা বিশেষ যন্ত্রে থাকে ওই কিউআর কোড। স্টেশনে গিয়ে ফোন দিয়ে স্ক্যান করলেই চড়া যায় ট্রেনে। যাত্রীদের মধ্যে এই ব্যবস্থা খুবই জনপ্রিয়। এ বার স্টেশনের শৌচাগার ব্যবহারেও এই ব্যবস্থা চালু করার পথে রেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy