নির্বাচন সদন। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এ বার লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এই জেলাগুলি হল পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। কমিশন সূত্রে খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হল।
গুজরাতের দুই পুলিশ সুপার (এসপি)-কেও সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই দুই এসপি ছোট উদয়পুর এবং আমদাবাদ গ্রামীণ জেলার দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সরানো হয়েছে পঞ্জাবের পঠানকোট, ফাজ়িলকা, জালন্ধর গ্রামীণ এবং মালেরকোটলা জেলার চার পুলিশকর্তাকে। তা ছাড়াও ওড়িশার ঢেনকানলের জেলাশাসক এবং দেওগড় এবং কটক গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে সরাতে বলেছে কমিশন। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনতিবিলম্বে পঞ্জাবের ভাতিন্ডার এসএসপি এবং অসমের শোনিতপুরের এসপিকে অন্যত্র বদলি করতে হবে। এই দুই পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানতে পেরেছে কমিশন।
সোমবারই রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। রাজ্যের কাছে তিনটি নাম চাওয়া হয়েছিল। সেই মতো তিন জনের নাম পাঠায় রাজ্য। বিবেক সহায়ের পাশাপাশি আরও দুই সিনিয়র আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এবং রাজেশ কুমারের নাম পাঠানো হয়েছিল কমিশনে। তাঁদের মধ্যে থেকে সোমবার বিবেককেই ডিজি পদে বসায় কমিশন। মঙ্গলবার তাঁকে সরিয়ে ভোটের সময় রাজ্য পুলিশের ডিজি করা হয় সঞ্জয়কে।
প্রসঙ্গত, শনিবার লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পাশাপাশি দেশ জুড়ে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি জারি করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করা হয় আইপিএস আধিকারিক রাজীবকে। পাশাপাশি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের স্বরাষ্ট্রসচিবকেও অপসারণের নির্দেশ দেয় কমিশন। সরানো হয় মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের সচিবকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy