মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল ছবি।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ২০ বছর পিছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করল ইডি। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ় এডুলজির বক্তব্য, “আজ উনি (মানিক) কাঁদছেন, কিন্তু ওঁর পরিকল্পিত কেলেঙ্কারির জন্যে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ২০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। ক্যানসারের মতো শিক্ষা ব্যবস্থাকে জর্জরিত করেছে এই কেলেঙ্কারি।” আদালতে এর আগের দিন নিজের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক।
ফিরোজ় এ দিন দাবি করেন, ‘উত্তরবঙ্গ এডুকেশনাল সোসাইটি ও ট্রাস্ট’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রতি কলেজ থেকে ৫০০০০ টাকা আদায় করা হয়েছিল পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে। ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে মাথাপিছু ৫০০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। এই ভাবে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও, মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় নামে এক মৃত ব্যক্তির (২০১৬ সালে মারা যান) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে এই অ্যাকাউন্টে মানিকের স্ত্রীর কেওয়াইসি জমা দেন। মানিক পাল্টা দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সাজানো ও মিথ্যা। মৃত্যুঞ্জয়ের চট্টপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর (মানিকের) স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট ছিল। এ দিন বিচারপতি ঘোষ জানান, ২৩ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে আজ, মানিক ইডি বিশেষ আদালতে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy