Advertisement
E-Paper

বাকিবুরের ফ্ল্যাট পার্ক স্ট্রিট, রাজারহাটেও, ১০০ কোটির সম্পত্তি পুরোটাই দুর্নীতির টাকায়?

ইডি সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিট, নিউ টাউন-রাজারহাট এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে বাকিবুরের। এ ছাড়াও আরও একাধিক জায়গায় মোট আট থেকে ন’টি ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে। বিভিন্ন সংস্থায় বাকিবুরের শেয়ার রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১০
An image of Bakibur Rehman.

রেশন ‘দুর্নীতি’তে ধৃত বাকিবুর রহমান। —ফাইল চিত্র।

রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের বিপুল সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই দাবি ইডি সূত্রে। বাকিবুরের মামলার তদন্তে নেমে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, হোটেল, পানশালা এবং রাইস মিল। বাকিবুর এবং তাঁর আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের নামে এই সম্পত্তি রয়েছে।

ইডি সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিট, নিউ টাউন-রাজারহাট এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে বাকিবুরের। এ ছাড়াও আরও একাধিক জায়গায় মোট আট থেকে ন’টি ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে। বিভিন্ন সংস্থায় বাকিবুরের শেয়ার রয়েছে। এমন মোট ছ’টি সংস্থার কথা জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছ’টি সংস্থায় বাকিবুরের শেয়ারের পরিমাণ সাড়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি।

হোটেল, পানশালা ছাড়াও একটি হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা ছিল বাকিবুরের। সব মিলিয়ে তাঁর মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ৯০টির বেশি সম্পত্তি বর্তমানে ইডির আতশকাচের নীচে। এগুলি দুর্নীতির টাকায় গড়া কি না, এর সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে জানা গিয়েছিল, শ্যালক এবং স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছেন বাকিবুর। শ্যালক অভিষেক বিশ্বাস এবং বাকিবুরের স্ত্রী, দু’জনেই ইডির জিজ্ঞাসাবাদে সে কথা জানিয়েছিলেন।

রেশনের জন্য বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী সরিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ ওঠে বাকিবুরের বিরুদ্ধে। তাঁর কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে ১০০-র বেশি সরকারি দফতরের সিলমোহর (স্ট্যাম্প) পাওয়া গিয়েছিল। সাড়ে ৫৩ ঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বেরোন ইডির আধিকারিকেরা। পরে বাকিবুরকে আরও ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয়। শেষে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত এই ব্যবসায়ী। আদালতে ইডি জানায়, বাকিবুর ঘন ঘন দুবাই যেতেন। তাঁর রেশনের মিল থেকে একটি ‘রেজিস্ট্রার বুক’ বা তথ্য নথিভুক্তকরণের খাতা উদ্ধার করে ইডি। সেখানে রেশনের খাদ্যসামগ্রী সরানোর নানা রকম হিসাব লেখা রয়েছে বলে দাবি ইডির। ইডি আদালতে এ-ও জানিয়েছে, কোথায় কত সামগ্রী পাঠানো হয়েছে, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা কোন ডিলার কতটা রেশন সামগ্রী পেয়েছেন, তার হিসাব রয়েছে ওই খাতায়। অনেকের স্বাক্ষরও রয়েছে।

Bakibur Rehman ED Ration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy