‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।
‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়ে আবার এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি দিল ইডি। অনেক দিন ধরেই এই নমুনা তারা সংগ্রহ করতে চাইছে। কিন্তু সুজয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। বার বার হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। এ বার চিঠিতে সময় জানতে চেয়েছে ইডি।
কবে সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাবে, সেই সময় জানতে চাওয়া হয়েছে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। ইডিকে সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকেই নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই যা করার করতে হবে। ‘কালীঘাটের কাকু’র যাতে শারীরিক কোনও সমস্যা না হয়, তাঁর উপর যাতে চাপ সৃষ্টি না করা হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল অফিসার।
এর পর থেকে একাধিক বার ইডি এসএসকেএমে গিয়েছে। গত মঙ্গলবারও ইডি আধিকারিকদের হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে (যেখানে সুজয় চিকিৎসাধীন) এবং সুপারের চেম্বারে যেতে দেখা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা কেমন, কেন এত দিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে, আরও কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে— এ নিয়ে খোঁজখবর করেন তাঁরা। কিন্তু ‘কাকু’র সঙ্গে কথা বলা এবং তাঁর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন সুজয়। এমনই একটি অডিয়ো বার্তার কথা আদালতকে জানিয়েছিল ইডি। তাদের দাবি ছিল, ওই অডিয়োতে সুজয়কৃষ্ণেরই গলা শোনা যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে স্বরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। সুজয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। ইডির আবেদনে সম্মতি দিয়ে সম্প্রতি আবার ‘কালীঘাটের কাকু’র গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সুজয়ের অসুস্থতা এবং দীর্ঘ হাসপাতালবাসের কারণে নমুনা সংগ্রহ করে উঠতে পারেনি ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy