সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।
এসএসকেএম থেকে তুলে তাঁকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে, এমন খবরই মঙ্গলবার সারাদিন ঘুরে বেড়িয়েছে হাসপাতালের অন্দরে। তিনি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু।
সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়িই সুজয়ের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করার কথা ইএসআইয়ের। সেটা তৈরি হয়ে গেলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় মুড়ে কাকু পৌঁছবেন সেখানে। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে সেই মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা সন্তুষ্ট হলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের সামনে তাঁর গলার স্বরের নমুনা নেওয়া হবে।
এখন সরকারি ভাবে কাকু জেল হেফাজতে রয়েছেন। যদিও গত মাস চারেক ধরে তাঁর ঠিকানা এসএসকেএম হাসপাতাল। মাঝে একবার অস্ত্রোপচার করিয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তার পরেও চার মাস অতিক্রান্ত। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, এত দিনেও কেন সুস্থ করা গেল না তাঁকে। এখনও কাকুর আইনজীবী এবং সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, তিনি অসুস্থ। হাসপাতাল জানিয়েছে, কাকুর রক্তের গতি মাঝেমধ্যেই আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় গলার স্বরের নমুনা নিতে গেলে হিতে-বিপরীত হতে পারে।
যদিও বিরোধীদের বক্রোক্তি, গলার স্বরের নমুনা যাতে না-দিতে হয়, তাই অসুস্থতাকে ঢাল করা হচ্ছে। কারণ, কাকুর গলার স্বরের নমুনার সঙ্গে তাঁর মোবাইলে পাওয়া অডিয়ো ক্লিপের কণ্ঠ মিলে গেলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অনেকটাই সুবিধা হবে তদন্তকারীদের। ইডি সূত্রের দাবি, বাজেয়াপ্ত অডিয়ো ক্লিপে সুজয়ের সঙ্গে প্রভাবশালীদের কথোপকথন রয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষায় সুজয়ের কণ্ঠস্বর মিলে গেলে তারপরে প্রভাবশালীদের কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে আবেদন করা হবে আদালতে। আর আদালতের অনুমতিক্রমে প্রভাবশালীদের গলার স্বরের নমুনা নেওয়ার পরে তাও যদি ফরেন্সিক পরীক্ষায় মিলে যায়, তা হলে আদালতে তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ হিসাবে পেশ করা যাবে এবং পরিশেষে চার্জশিটে ওই প্রভাবশালীদের নাম অনায়াসে উল্লেখ করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy