Advertisement
E-Paper

নাম ভাঁড়িয়ে জয়েন্টে, আট পরীক্ষার্থী ধৃত

নাম ভাঁড়িয়ে অন্যের হয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেডিক্যাল পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল আট তরুণ। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা ধরা পড়ে। অভিযুক্তদের অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে মুখের মিল নেই দেখে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়। এর পর জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করা হলে দেখা যায় কেউ বাড়ির ঠিকানা সঠিক বলতে পারছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০৪:০৫

নাম ভাঁড়িয়ে অন্যের হয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেডিক্যাল পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল আট তরুণ। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা ধরা পড়ে।

অভিযুক্তদের অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে মুখের মিল নেই দেখে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়। এর পর জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করা হলে দেখা যায় কেউ বাড়ির ঠিকানা সঠিক বলতে পারছে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অরিন্দম সরকার এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের প্রতিনিধিরা জানান, এক জনের কলকাতার তপসিয়ায় বাড়ি হলেও কেন শিলিগুড়ি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসেছেন তার উত্তরে দার্জিলিং ঘোরার পরিকল্পনা রয়েছে এমন অসংলগ্ন কথা জানায়। কেউ নাম জিজ্ঞাসা করলে ‘মেরা নাম’ বলে বাঙালি যুবকদের মতো নাম বলে ফেলে। মুখোপাধ্যায়, সাহা উপাধি হলেও তারা হিন্দিতে কথা বলছে। জেরার মুখে পরে অধিকাংশই ভেঙে পড়ে স্বীকার করেছে তারা অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে। কেউ ৫ লক্ষ, কেউ ১০ লক্ষ টাকার চুক্তিতে এসেছে। ধৃতদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্য দিকে দুজন ভুঁয়ো জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীকে এ দিন জলপাইগুড়ি থেকেও ধরা হয়েছে। শিলিগুড়ির এসিপি (পূর্ব) পিনাকী মজুমদার বলেন, ‘বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতদের একাংশ বিমানে করে এসেছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় জালিয়াতি কাণ্ডে এ দিন ধৃতদের কেউ দিল্লির বাসিন্দা, কেউ বিহারের, কেউ পটনা বা রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। জেরায় অনেকে নিজেদের ইমেল আইডি বলতে পারেনি। কেউ কষ্ট করে আইডি বলতে পারলেও পাসওয়ার্ড বলতে পারছে না। এ দিন ‘বায়োলজি’র পরীক্ষা ছিল। পলিটেকনিক কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই নজরদারির দায়িত্বে থাকা শিক্ষক, আধিকারিকরা খাতা, অ্যাডমিট কার্ড মেলানোর সময় অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে চেহারার মিল নেই দেখে সন্দেহ করেন। পরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে ৬ জন স্বীকার করেছে তারা ভুয়ো পরীক্ষার্থী। ২ জন স্বীকার করতে চাইছে না। পুলিশকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।’’

জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের প্রতিনিধি উত্তম ঘোষ জানান, ধৃতেরা যাদের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে তাদের কারও বাড়ি পুরুলিয়া, কারও তপসিয়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বলে জানা গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, এদের সঙ্গে আরও কয়েকজন শিলিগুড়িতে এসেছে। তারা অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে কি না দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, এ দিন জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল থেকে যে দুই জনকে ধরা হয়েছে, তাদের নাম প্রশান্ত কুমার এবং গোপাল কুমার। দু’জনই বিহারের পূর্ণিযা জেলার বাসিন্দা। অভিযোগ, ওই দুজন অউরঙ্গবাদের বাসিন্দা প্রিয়েস গুপ্ত এবং প্রিন্স কুমারের হয়ে এদিন পরীক্ষায় বসে। অ্যাডমিট কার্ডের ছবি এবং সই দেখে সন্দেহ হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পুলিশকে জানান। পুলিশ স্কুলে পৌঁছে সমস্ত নথিপত্র দেখে দুজনকে গ্রেফতার করে।

joint examination age police doctor siliguri delhi bihar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy