E-Paper

দৈনিক তথ্য সে দিনই আপলোড করার নির্দেশ

এসআইআরের সবক’টি পর্যায়ের সময়সীমা সাতদিন করে বাড়িয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ৪ ডিসেম্বরের বদলে প্রথম ধাপ তথা এনুমারেশনের সময় রয়েছে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৩

—প্রতীকী চিত্র।

হাতের কাজ ফেলে না রেখে, দৈনিক কাজ সে দিনই সেরে ফেলার পরামর্শ বিএলও-দের দিল নির্বাচন কমিশন। মনে করা হচ্ছে, পুনর্যাচাইয়ের কাজে বাড়তি সময় হাতে রাখতেই এই বার্তা। একই সঙ্গে কমিশনের সিদ্ধান্ত, এখন থেকেই ভোট-নজরদারির প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হবে। তাই কেন্দ্র-রাজ্যের সবক’টি সংস্থাকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে।

এসআইআরের সবক’টি পর্যায়ের সময়সীমা সাতদিন করে বাড়িয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ৪ ডিসেম্বরের বদলে প্রথম ধাপ তথা এনুমারেশনের সময় রয়েছে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের মধ্যেই হাতে জমে থাকা সব আবেদনপত্র নথিবদ্ধ এবং পোর্টালে আপলোড করে ফেলার নির্দেশ বিএলওদের দিয়েছে কমিশন। আজ, বুধবার থেকে দৈনিক তথ্য সে দিনই আপলোড করতে হবে। আপলোড হওয়া তথ্য পুনর্যাচাইয়ের যে দায়িত্ব নতুন করে এসেছে, তার সঙ্গে কমিশনের নতুন নির্দেশ বিএলও-দের উপর আরও চাপ বাড়াতে পারে। অবশ্য কমিশনের বক্তব্য, জেলায় জেলায় বহু ফর্ম সংগ্রহ করা হলেও, তা আপলোড হয়নি। এই প্রবণতার সবটা যে সাধু, তা ধরে নেওয়া যায় না। জমে থাকা কাজ শেষ হয়ে থাকলে শেষমুহূর্তে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি ঠেকানো যাবে।

আগামী বছর ভোটের প্রায় ছ’মাস আগে থেকেই নজরদারির কাজ এখন থেকেই শুরু করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ, আয়কর, রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স, আবগারি, নার্কোটিক্স, কাস্টমস, বিএসএফ, সিআইএসএফ, রেল পুলিশ, রেল, অসামরিক বিমান পরিবহণ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কমার্শিয়াল ট্যাক্স, পরিবহণ, সমবায়, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ, বন, উপকূল রক্ষী বাহিনী, -সহ ২৫টি সংস্থাকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। ভোটে বেআইনি অর্থ, মাদক, অস্ত্র, দুষ্কৃতী-রমরমা বা যাতায়াত রুখতে এবং নজরদারির জন্য এমন সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে কমিশন।

মঙ্গলবার কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪৬.২০ লক্ষ ফর্ম অসংগৃহীত থেকে গিয়েছে। তার মধ্যে মৃত প্রায় ২২.২৮ লক্ষ, নিখোঁজ প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ, প্রায় ১৬.২২ লক্ষ ঠিকানা বদল এবং প্রায় ১ লক্ষ ভুয়ো ভোটার থাকতে পারেন।

৪৮ ঘণ্টা আগেই জেলাগুলি থেকে যে তথ্য কমিশন পেয়েছিল, তাতে ২২০৮ এমন বুথ এলাকা রয়েছে, যেখানে কোনও মৃত, ঠিকানা বদল, একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে এমন ভোটার বা অনুপস্থিত ভোটারের সন্ধান মেলেনি। পুনর্যাচাইয়ের কাজ শুরুর পরে মঙ্গলবার সেই তথ‍্যই সংশোধিত হয়েছে। তাতে ২২০৮ থেকে তেমন বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮০। অন‍্য দিকে এমন কিছু বুথের সন্ধান মিলেছে, যেখানে এক জনও ভোটারের নামের মিল নেই ২০০২ সালের এসআইআরের সঙ্গে! বিষয়টির অবাস্তবতা বুঝে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলির থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। বুথগুলির মধ্যে রয়েছে কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভার পার্ট নম্বর ১১০। সেখানে ৭৮২ ভোটারই এমন গোত্রের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি বিধানসভা পার্ট নম্বর ৪৮-এ, ৭৬৮ জন ভোটার একই। হুগলির পান্ডুয়া বিধানসভার ৫৩ পার্ট ৬৬৮ জন ভোটারইঅমিলের আওতায়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Special Intensive Revision BLO Election Commission of India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy