E-Paper

কমিশন চাইল সব স্তরের আধিকারিকদের তালিকা

যে তালিকা কমিশনকে পাঠাতে হবে, সেখানে আইএএস, আইপিএস অফিসারেরা ছাড়াও গ্রুপ-এ, বি, সি এবং ডি— এই চারটি স্তরের আধিকারিক-কর্মীদের তথ্য থাকতে হবে।

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ১০:০১
জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।

প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকদের তালিকা চাইল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেই তালিকায় রাখা যাবে না চুক্তিভিত্তিক এবং ‘কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ড’ বা সহানুভূতিমূলক ক্ষেত্রে নিযুক্ত কর্মীদের। বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, আগামী বছর এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে এই পদক্ষেপ হওয়ারই ছিল। কোন আধিকারিক কোন পদে এবং কতদিন ধরে রয়েছেন, তা বুঝতে চায় কমিশন। সেই মতো ভোটের ব‍্যবস্থাপনা চূড়ান্ত হবে। তবে ভোটার তালিকা এবং নির্বাচনী কাজে দায়বদ্ধতার প্রশ্নে এই ধরনের খোঁজখবর আগে থেকে করাও তাৎপর্যপূর্ণ।

যে তালিকা কমিশনকে পাঠাতে হবে, সেখানে আইএএস, আইপিএস অফিসারেরা ছাড়াও গ্রুপ-এ, বি, সি এবং ডি— এই চারটি স্তরের আধিকারিক-কর্মীদের তথ্য থাকতে হবে। কার সিনিয়রিটি কোন স্তরে, জানাতে হবে তা-ও। এমনকি, জেলাশাসক (ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার বা ডিইও) ইআরও (সাধারণত মহকুমাশাসক, ডেপুটি ম‍্যাজিস্ট্রেট স্তরে) এবং এইআরও-দের (বিডিও, যুগ্ম বিডিও সাধারণত) লোকবল কত রয়েছে, কোথাও লোকবল কম থাকলে শূন্যপদের সংখ্যা কত— সবই বলতে হবে দিল্লির নির্বাচন সদনকে। কমিশন-কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, এই ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিকদের উপস্থিতি যেমন গ্রাহ্য করবে না কমিশন, তেমনই ‘কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে’ (চাকরিরত কারও মৃত্যু হলে তাঁর নিকটাত্মীয়কে সরকারি চাকরি দেওয়া) কেউ কর্মরত থাকলে, তাঁদের ওই তালিকাভুক্ত করা চলবে না।

এক কর্তার কথায়, “পুলিশে আইপিএস, ডব্লিউবিপিএস বা থানাস্তরে কোথায় কত লোকবল, তা ইতিমধ্যেই জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে কমিশন সম্ভবত বুঝে নিতে চাইছে, কোন পদে কে তিন বছর কাজ করে ফেলেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, ভোটের আগেই এক পদে তিন বছরের বেশি কর্মরতদের অন‍্যত্র বদলি করতে হবে। আবার ভোটের সময় যাঁদের এক পদে কাজের মেয়াদ তিন বছরে পা দেবে, বদলি হতে হবে তাঁদেরও। পূর্ণাঙ্গ সেই তালিকা হাতে নিয়েই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন।” প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এখন জেলাশাসক-সহ জেলাস্তরে কর্মরত অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও স্তরে অনেকেরই এক পদে কাজের মেয়াদ তিন বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। কয়েক জন এমনও রয়েছেন, যাঁরা সচিব পদে উন্নীত হলেও জেলাশাসক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নভেম্বরে শুরু হবে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ অভিযান। তার ভিত্তিতে আগামী জানুয়ারি মাসের গোড়ায় সংশোধিত এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ পাবে। যা ধরে ভোট হবে বিধানসভার। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে সাধারণত এই ধরনের বদলি কার্যকর করা হয় না। ফলে তার আগেই বদলির কাজ সেরে ফেলার কথা রাজ‍্যের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nabanna

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy