পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠল আট জন বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-এর বিরুদ্ধে। তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিস (শো কজ়) পাঠিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, ৮ জন বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ)-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। জেলা প্রশাসনকে বিধি মেনে কাজ পরিচালনার বার্তা পাঠিয়েছে তারা।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার বদলে স্কুল ও পার্টি অফিস থেকে ফর্ম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বেশ কিছু এলাকায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট বিএলও-দের শো-কজ়ের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শো-কজ়ের তালিকায় কোচবিহার, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলার বিএলও-রা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মৃতদের নামে ফর্ম দিতে তাঁদের পরিবারকে জোর করার অভিযোগে আট জন বিএলএ-র বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে কমিশন। এই ঘটনা ঘিরে প্রশাসনিক মহলের পাশাপাশি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার কথা বিএলওর। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে একটি বিশেষ সেল শুরু হয়েছে। সেখানে বিএলওদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা করা যাবে। হেল্পলাইন নম্বরে (০৩৩-২২৩১০৮৫০) ফোন করে নাগরিকেরা তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এর আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ফর্ম বিলি ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত বাধে। জলপাইগুড়ির শিকারপুর পঞ্চায়েতের একটি বুথে বিএলও বাড়িতেই সকলকে ডেকে এনে গণনাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্ট (২)-কে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁরা জামিন পান। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযোগ, বিএলও-রা তৃণমূল কর্মীদের সহায়তায় নির্দিষ্ট জায়গায় বসে ফর্ম বিতরণ করছেন। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিধাননগরে তৃণমূলের কার্যালয় চত্বরে বিএলওকে সঙ্গে নিয়ে সাংসদ কীর্তি আজাদ ফর্ম বিলি করছেন বলে অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের।